
ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার কিংবদন্তি কাফু বাংলাদেশে আসবেন। ডিসেম্বরে একটি লাতিন বাংলা সুপার কাপ নামের প্রীতি টুর্নামেন্ট খেলতে আসবে ব্রাজিল, আর্জেন্টনার দুটি দল এবং খেলবে বাংলাদেশ থেকে একটি দল। সেই টুর্নামেন্টের শেষ দিনে ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক কাফু থাকবেন। কথাটা বিশ্বাস করাতেই সংবাদ সম্মেলনে এক ঘণ্টা কেটে গেছে। অনেকেই এমনটা ঘোষণা দিয়ে আনতে পারেন না।
টুর্নামেন্টের আয়োজক এএফ বক্সিং প্রোমশন ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান সংবাদ সম্মেলনে কাফুর ভিডিও ফুটেজ দেখান। সেখানে কাফু বলছেন হ্যালো বাংলাদেশ, দিস ইজ কাফু। আই হোপ টু সি ইউ ঢাকা নেক্সট মান্থ।’
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আগামী ১১ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় কাফু ঢাকায় নামবেন। তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তিপত্র হয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনের পরে তিনি বলেন, ‘চুক্তি করেই আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, কারণ টাকা দিতে হয়েছে।’
১৯৯৯ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলে ব্রাজিল এসেছিল খেলতে। তারা খেলতে নামার পর দেখা যায় ঠিক মতো লাথিও মারতে পারছে না। পরদিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাজিল থেকে আসা খেলোয়াড়রা ইত্তেফাককে জানিয়েছিলেন, তারা জার্সি কিনেছে গুলিস্তান থেকে, ঢাকায় এসে বুট কিনেছিলেন। এ কারণে সংশয় উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সেরকম কিছু হবে বলে জানান আসাদুজ্জামান। আর্জেন্টিনার পঞ্চম সারির ক্লাব অ্যাথলেটিকো সারলোন এবং ব্রাজিলের তৃতীয় সারির দল সাও বার্নার্দো ক্লাব, এ দুটি দল দেশের নামে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলবে। সবই অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল দলের খেলোয়াড়। দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা কনমেবল অনুমতি দিয়েছে বলে দাবি করেন আসাদুজ্জামান।
জাতীয় স্টেডিয়াম খেলা হবে ৫-১১ ডিসেম্বর। টিকিট কেটে খেলা দেখতে হবে। ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ব্রাজিল, ৮ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনা-বাংলাদেশ এবং শেষ দিনে ১১ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচে কাফু মাঠে থাকবেন। গতকাল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আর্জেন্টিনার ক্যানিজিয়া, বাতিস্তুতা কিংবা ভেরন-যে কোনো একজনকে আনার চেষ্টা চলছে।