
রাশিয়ার নতুন ‘বুরেভেস্টনিক’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা পর্যবেক্ষঅা সময় ন্যাটোর একটি গোয়েন্দা জাহাজ একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে অবস্থান করেছে। তবে রাশিয়া এটিতে কোনো হতক্ষেপ করেনি, বরং তাদের পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করতে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) নতুন কৌশলগত অস্ত্রটির উন্নয়নে জড়িত ব্যক্তিদের সম্মান জানাতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এমনটা বলেন।
গত মাসে রাশিয়া সফলভাবে বুরেভেস্টনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর মতে, এটি ১৪ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ ভ্রমণ করে এবং প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে আকাশে উড়েছে।
পুতিন বলেন, ‘আমি মনে করি বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও এটি যাচাই করতে সক্ষম হয়েছেন; কারণ ২১ অক্টোবর বুরেভেস্টনিকের পরীক্ষার সময় একটি ন্যাটো গোয়েন্দা জাহাজ ক্রমাগত ওই এলাকায় ছিল। আমরা এর কাজে হস্তক্ষেপ করিনি। তাদের একবার দেখে নিতে দিন।’
রাশিয়ান নেতা জোর দিয়ে বলেন, মস্কো কাউকে হুমকি দিচ্ছে না। এই পরীক্ষাগুলো দীর্ঘ-ঘোষিত কাজের অংশ। এটি অবাক হওয়ার মতো বিষয় নয়।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়া ‘পোসেইডন’ নামের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত টর্পেডো-আকৃতির সামুদ্রিক ড্রোন পরীক্ষা করেছে। এছাড়া নতুন মডেলের পারমাণবিক সাবমেরিন ‘খবরোভস্ক’ উন্মোচন করা হয়, যা থেকে ওই বিশেষ ড্রোনগুলো ছোড়া যাবে।
এই পরীক্ষাগুলোর কোনওটিতেই প্রকৃত পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটেনি। তবুও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে কৌশলগত প্রতিযোগিতার কথা উল্লেখ করে পেন্টাগনকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।