
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে প্রদেশে গোয়েন্দা তথ্য-ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এতে ‘ভারতীয় প্রক্সি বাহিনীর’ ৪ জন সশস্ত্র সদস্য নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) তাদের এ সফল অভিযানের কথা জানিয়েছে পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর আইএসপিআর জানায়, শনিবার বেলুচিস্তানের কালাত জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী গোয়েন্দা তথ্য-ভিত্তিক অভিযানে ‘ভারতীয়-প্রক্সি বাহিনীর’ চার জন নিহত হয়েছে।
মূলত উক্ত অঞ্চলে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ভারত সমর্থন দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ করে আসছে ইসলামাবাদ। আর এ জন্য গোষ্ঠীগুলোকে ‘ভারতীয় প্রক্সি বাহিনী’ বা ‘ফিতনা আল হিন্দুস্তান’ নামে চিহ্নিত করে পাকিস্তান।
এক বিবৃতিতে পাক আইএসপিআর জানায়, গত ১ নভেম্বর ‘ভারতীয় প্রক্সি ফিতনা আল হিন্দুস্তানের জঙ্গিদের’ উপস্থিতির খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী একটি আইবিও পরিচালনা করে। অভিযানে ৪ সন্ত্রাসী নিহত হয়।
নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদও উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আইএসপিআর জানায়, এই অঞ্চলে আরও কোনো ভারতীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে এখন সন্ত্রাস নির্মুল অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
দেশটির রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি এই অভিযানের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক্সে দেয়া বার্তায় বলেছেন, ‘অপারেশন আজম-ই-ইস্তেহকামের অধীনে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার সংকল্পে জাতি তার বাহিনীর সঙ্গে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।’
আরেক প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় (কেপি) দুটি পৃথক সংঘর্ষে কমপক্ষে তিনজন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হওয়ার একদিন পর বেলুচিস্তানে অভিযানের কথা জানালো আইএসপিআর।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে সন্ত্রাসী হামলা। বিশেষ করে কেপি এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে এর মাত্রা সব থেকে বেশি। আর এসব হামলার মূল টার্গেট পুলিশ, আইন প্রয়োগকারী কর্মী এবং নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটিতে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান ২০২২ সালে সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পর হামলা বৃদ্ধি পায়।