
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, দেশে ইতোমধ্যে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থী বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে সরকার।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, এই নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু এবং যারাই নির্বাচিত হবেন, সরকার তাদের হাতেই ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। ফলে আমাদের দেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ থাকবে। কারণ এটি যদি ব্রেক হয়, দেশের অগ্রগতি, দেশের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য একদল লোক সবসময় সতর্ক থাকে এবং বারবার অযৌক্তিক দাবি তুলে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। সরকারকে বিব্রত করতে চায়। যতই করুক; নির্বাচনে যে নির্বাচিত হবে তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার সার্বিক প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। ইলেকশন কমিশন এই ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছে।
বিভিন্ন দাবি দাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে দাবি-দাওয়া ও আন্দোলন চলে এবং চলবে। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব আমরা দাবি দাওয়া পালন করছি। নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে।
মডেল মসজিদ প্রসঙ্গে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, যেসব মডেল মসজিদ উদ্বোধন হয়নি, সেগুলো সরকারের নলেজে আছে। আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। ইতোমধ্যে ৩৫০টির এর মতো মসজিদ নির্মিত হয়ে গেছে, যার কিছু হস্তান্তর হয়েছে এবং কিছু হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যেগুলো ফাটল অথবা ত্রুটিপূর্ণ রয়েছে এগুলো নিয়ে আমরা একটা তদন্ত কমিটি করেছি। তারা বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। অভিযোগ দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিবো।
এসময় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার, জেলা পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী রাকিবুল হাসানসহ জেলার অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও ধর্মীয় নেতারা।