
দেশে জাপানি সিনেমার সাফল্যের পর এবার সিনেপ্লেক্সে দেখা যাবে ইন্দোনেশিয়ার হরর সিনেমা ‘কিতাব সিজ্জিন দান ইল্লিন’। একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে টাঙ্গাইল অঞ্চলের লোকজ সংস্কৃতি ও বেহুলা নাচারি গীতিনাট্যকে কেন্দ্র করে নির্মিত বাংলা সিনেমা ‘বেহুলা দরদী’।
টাঙ্গাইলসহ আশপাশের কয়েকটি জেলায় একসময় জনপ্রিয় ছিল ‘বেহুলা নাচারি’ পালা—বেহুলা ও লখিন্দরের উপাখ্যানভিত্তিক গীতিনাট্য। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় তৈরি হয়েছে ‘বেহুলা দরদী’ সিনেমা।
চলচ্চিত্রটির কাহিনিতে দেখা যাবে, নাগবাড়ি বেহুলা নাচারি দলের প্রধান ভোলা মিয়া দলটিকে টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করছেন। কয়েকবার ইউনিয়নভিত্তিক প্রতিযোগিতায় পরাজয়ের পর দলটির সম্মান যেন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দিতে শুরু হয় নতুন লড়াই—সংস্কৃতি, সম্মান ও টিকে থাকার।
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সবুজ খান। অভিনয়ে রয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু, প্রাণ রায়, সূচনা সিকদার, আজিজুন মীম, আশরাফুল আশীষ, আফফান মিতুল ও সানজিদা মিলা। প্রযোজনা করেছে উৎসব অরজিনালস।
নির্মাতা সবুজ খান বলেন, ‘বিলুপ্তপ্রায় এক সংস্কৃতিকে নতুনভাবে দর্শকের সামনে তুলে ধরাই এই সিনেমার মূল লক্ষ্য। আশা করছি দর্শকের ভালো লাগবে।’
কিতাব সিজ্জিন দান ইল্লিন
ইন্দোনেশিয়ার হরর সিনেমা ‘কিতাব সিজ্জিন দান ইল্লিন’-এ এক নারী কালো জাদুর মাধ্যমে একটি পরিবারকে অভিশাপ দেয়। সেই জাদুর প্রভাবে পরিবারটির সদস্যরা একের পর এক ভয়ঙ্কর ঘটনার সম্মুখীন হয়, এবং নিজেদের জীবন রক্ষার সংগ্রামে নেমে পড়ে।
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন হাদ্রা দায়েং রাতু। এতে অভিনয় করেছেন ইউনিতা সিরেগার, দিন্দা কন্যাদেবী ও তারা বুদিমান।
সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়ান হরর সিনেমাগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এসব সিনেমায় উঠে আসে দেশটির লোককাহিনি, অতিপ্রাকৃত বিশ্বাস এবং সামাজিক বাস্তবতার অনন্য মিশেল।
ইন্দোনেশিয়ান ফিল্ম বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশটিতে নির্মিত ২৫৮টি সিনেমার মধ্যে ৬০ শতাংশই ছিল হরর ঘরানার, যা বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ান চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারা হিসেবে বিবেচিত।
 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	