
বিশ্বে ভূপৃষ্টের তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। এর ফলে মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে। একটি গবেষণা বলছে, এই উষ্ণায়নের কারণে প্রতি মিনিটে একজন মানুষের মৃত্যু ঘটছে। বছরে অন্তত সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ল্যানসেট কাউন্টডাউন ২০২৫ শীর্ষক প্রতিবেদনে বুধবার দাবি করা হয়েছে, শিশু এবং প্রবীণদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। ল্যানসেট কাউন্টডাউনের দাবি, ৯০-এর দশকের তুলনায় উষ্ণায়নে মৃত্যুর হার বেড়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ! গবেষকরা জানিয়েছেন, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তাপপ্রবাহের যে সব ঘটনা ঘটেছে, তার ৮৪ শতাংশই মানবসৃষ্ট। অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়নের জেরেই জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। ২০২৪ সালে পৃথিবীর স্থলভাগের ৬১ শতাংশ চরম খরায় আক্রান্ত হয়েছিল, যা ১৯৫০-এর দশকের গড়ের তিন গুণ।
গবেষকরা বলছেন, ১৯৯০ সালের পর থেকে বিশ্ব জুড়ে অতিরিক্ত তাপপ্রবাহে মৃত্যুর হার ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১২ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিবছর গড়ে প্রাণ হারিয়েছে ৫ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ।
সর্বশেষ চার বছরের জরিপের তথ্যমতে, একজন ব্যক্তিকে বছরে গড়ে ১৯ দিন তীব্র তাপমাত্রা সংস্পর্শে আসতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি প্রাণঘাতী পর্যায়ে যায়। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবীদের রেকর্ড ৬৩৯ বিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়েছে, যা স্বল্পোন্নত দেশের জাতীয় জিডিপির ৬ শতাংশ ক্ষতি করেছে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, গেল বছর বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে তথ্য প্রদানকারী ইউরোপীয় সংস্থা কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২৪ সালের তাপমাত্রা, ১৮৫০-১৯০০ সালের প্রাকশিল্প যুগের তুলনায় ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি বেশি ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিজ্ঞানীদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থাও। যদিও ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী ২০৫০ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির নিচে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। -রয়টার্স ও বিবিসি
 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	