
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট শাখা ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বেলুচিস্তানের দুটি পৃথক অভিযানে ১৮ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। আইএসপিআর এক বিবৃতিতে নিহত জঙ্গিদের ‘ভারতের প্রক্সি’ এবং ‘হিন্দুস্তানি অশান্তি সৃষ্টিকারী’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
ডন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বেলুচিস্তানের বিদ্রোহীদের বর্তমানে ইসলামাবাদ এই তকমা দিচ্ছে, এর মাধ্যমে পাকিস্তানজুড়ে অস্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাসের পেছনে ভারতের কথিত ভূমিকা রয়েছে বলে সামনে আনার চেষ্টা করছে তারা।
আইএসপিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, কোয়েটা জেলার চিলতান পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে প্রথম অভিযানটি চালানো হয়। আইএসপিআর বলেছে, ‘অভিযান চলাকালে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাদের তুমুল গুলি বিনিময় হয়, তাতে ১৪ ভারতীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীকে নরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ এছাড়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেচ জেলার বুলেদাতেও সন্ত্রাসীদের এক আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ৪ জঙ্গিকে ‘সফলভাবে নিস্ক্রিয়’ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিহতরা অসংখ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।’ আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, বিদেশি সহায়তাপ্রাপ্ত বিশেষ করে ভারতীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের পুরোপুরি নির্মূলে নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলবে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পাকিস্তানজুড়ে, বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার পরিমাণ ও তীব্রতা বেড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করেই এসব হামলা হচ্ছে।
২০২২ সালে নিষিদ্ধঘোষিত তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে সরকারের অস্ত্রবিরতি ভেঙে পড়ার পর থেকে এ ধরনের হামলা বেড়েছে। এর আগে আইএসপিআর খাইবার পাখতুনখোয়ার কুররম জেলার দোগারে এক অভিযান চলাকালে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক ক্যাপ্টেনসহ ৬ পাকিস্তানি সেনার মৃত্যুর খবর দিয়েছিল।
সূত্র: ডন