
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর চীনের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ৫৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই শুল্কহার ‘তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে’ বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এক বছরের বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে, যা নিয়মিতভাবে বাড়ানো হবে। তিনি জানান, ‘আমাদের চুক্তি হয়েছে।’
ট্রাম্প এই চুক্তির সঙ্গে কিছু শর্তের কথাও বলেছেন। শর্তগুলো হলো, বেইজিং আবার আমেরিকান সয়াবিন কেনা শুরু করবে, বিরল ধাতু রপ্তানি অব্যাহত রাখবে এবং ফেন্টানিলের অবৈধ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করবে। ট্রাম্প আরও ঘোষণা করেছেন, চীনের ফেন্টানিলে যে ২০ শতাংশ শুল্ক ছিল, তাও কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হবে।
এর আগে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছিলেন, আসিয়ান সম্মেলনের আলোচনায় আগামী ১ নভেম্বর থেকে চীনের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যে শতভাগ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার কথা, তা স্থগিত হয়েছে। তিনি আরও আশা প্রকাশ করেছিলেন, চীন চৌম্বক পদার্থসহ বিরল খনিজ রপ্তানিতে লাইসেন্স নেওয়ার যে প্রথা চালু করেছে, তা বাস্তবায়নের মেয়াদ অন্তত এক বছর পিছিয়ে দেবে। আজকের বৈঠকের পর ট্রাম্প সেকথাও বলেছেন, বিরল খনিজ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে দ্রুত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে আগ্রহী, এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই নেতার বৈঠক মূলত যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহেই হয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আগামী এপ্রিল মাসে চীন সফর করবেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তার পরে যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন।
এই বৈঠকের আগে রয়টার্সের এক সংবাদে জানানো হয়েছিল, পারস্পরিক বিরোধ আমলে নিয়ে বাণিজ্যচুক্তির কাঠামোর বিষয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। ট্রাম্পের আজকের কথায় তারই ইঙ্গিত পাওয়া গেল। বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, শুল্ক হ্রাসের এই পদক্ষেপের ফলে এবার দুই দেশের পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য চুক্তির পালে হাওয়া লাগতে পারে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন।
সূত্র: ইকোনমিক টাইমস