
ভবিষ্যতে তাইওয়ানের ওপর বলপ্রয়োগের সম্ভাবনা ‘একেবারে উড়িয়ে দেবে না’ চীন। বুধবার (২৯ অক্টোবর) চীনের একজন সরকারি মুখপাত্র এ কথা বলেছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ধারাবাহিক নিবন্ধের চেয়ে চলতি সপ্তাহে অনেক কঠোর সুরে বলা হয়েছে – দ্বীপটি বেইজিংয়ের কাছে চলে গেলে ‘বিনয়ী শাসনের’ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
তথাকথিত গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করে চীন। দ্বীপের সঙ্গে ‘পুনর্মিলন’র জন্য কখনো ‘শক্তি প্রয়োগের’ সম্ভাবনা ত্যাগ করেনি তারা।
নীতিটি প্রায়শই জনসমক্ষে সরাসরি প্রকাশ করা হয় না। তবে এই সপ্তাহে তাইওয়ান সম্পর্কে সিনহুয়া সংবাদ সংস্থার তিনটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
এর মধ্যে একটিতে ‘পুনর্মিলনের’ পরে কীভাবে দ্বীপটি শাসন করা হতে পারে, তা চিত্রিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তাইওয়ানের বিদ্যমান সামাজিক ব্যবস্থা এবং জীবনযাত্রাকে সম্মান করা হবে।
চীনের তাইওয়ান বিষয়ক অফিসের মুখপাত্র পেং কিং’ইন বেইজিংয়ে একটি নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা মডেলের অধীনে শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলন হলো তাইওয়ান সমস্যা সমাধানের মৌলিক পদ্ধতি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা তৈরি করতে ইচ্ছুক এবং সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে এই সম্ভাবনা অনুসরণ করার জন্য কোনো প্রচেষ্টা ছাড় দেওয়া হবে না।’
পেং কিং’ইন আরওব অলেন, ‘তবে আমরা একেবারেই বলপ্রয়োগ (নীতি) ত্যাগ করব না এবং প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের বিকল্প সংরক্ষণ করব।’
তাইওয়ান নীতির দায়িত্বে থাকা চীনের শীর্ষ কর্মকর্তা ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির চতুর্থ স্থানে থাকা নেতা ওয়াং হুনিং গত শনিবার এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতায় বলপ্রয়োগের কথা উল্লেখ করেননি। বরং ‘পুনর্মিলন’ থেকে উভয় পক্ষ কীভাবে উপকৃত হবে, তার ওপর আলোকপাত করেন।
তার বক্তৃতায় উঠে এসেছে, তাইওয়ানের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসন মডেলের ওপর চীনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, তবে কোনো প্রধান তাইওয়ানীয় রাজনৈতিক দলকে সমর্থন নয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি বৈঠকের আগে বেইজিংয়ের নেতাদের এসব বক্তব্যর নিন্দা করেছে তাইওয়ানের সরকার।
ট্রাম্প আজ বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি শি’র সঙ্গে তাইওয়ান নিয়ে আলোচনা করবেন কি না, তা তিনি জানেন না।