
দেশের কিংবদন্তি শিল্পীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা হবে। মাস দুয়েক আগে এমন আশাবাদই ব্যক্ত করেছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এবার কালজয়ী কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদকে উদযাপন নিয়ে তেমন ইঙ্গিতই দিলেন তিনি।
১৩ নভেম্বর হুমায়ূন আহমেদের ৭৭তম জন্মদিন। বিশেষ এই দিনটি বিস্তৃত পরিসরে উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এই বার্তা দিয়ে এক ফেসবুক পোস্টে ফারুকী বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রভাবশালী কালচারাল আইকন সম্ভবত তিনি।’
উদযাপনের বিষয়টি জানিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘সেলেব্রেটিং বাংলাদেশী লেজেন্ডস’ সিরিজে এবার আমরা উদযাপন করব হুমায়ূন আহমেদকে, এই ১৩ নভেম্বর। আরও বড়, আরও বিস্তৃত আয়োজনে হবে এবারের পর্ব। গান হবে, ছবি দেখানো হবে, আলাপ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভালো হতো ১৩ তারিখ যদি ভরা পূর্ণিমা হতো। কিন্তু ক্যালেন্ডার বলছে ৫ তারিখ পূর্ণিমা। অসুবিধা নাই। ভালোবাসার পূর্ণিমা হবে সেইদিন। অনুষ্ঠানের বিস্তারিত জানা যাবে শিগগিরই।’
এ সময় হুমায়ূন ভক্তদের শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে চোখ রাখার অনুরোধ জানান ফারুকী। সেইসঙ্গে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ছাড়াও বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে সবাইকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানান তিনি।
অন্যদিকে, ‘সেলিব্রেটিং বাংলাদেশী লেজেন্ডস’-এ হাছন রাজা, শাহ আব্দুল করিম, আব্বাসউদ্দীন আহমদরা থাকছেন কি-না—নেটিজেনদের অনেকে সংস্কৃতি উপদেষ্টার কাছে এমনটা জানতে চেয়েছিলেন। আজ মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টাও ‘হ্যাঁ’ বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
ফারুকী লেখেন, ‘অনেকেই জানতে চেয়েছেন হাছন রাজা, শাহ আব্দুল করিম, আব্বাসউদ্দীনরা কি আমাদের সেলিব্রেটিং বাংলাদেশী লেজেন্ডস ক্যালেন্ডারে আছেন কিনা। প্রথমেই ধন্যবাদ যে এই প্রশ্নগুলা আসছে। এবার প্রশ্নের উত্তর—ইয়েস।’
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, শুধু তারাই নয়, শিল্পের নানা শাখার বরেণ্য মানুষরা থাকছেন সেলিব্রেটিং বাংলাদেশী লেজেন্ডস ক্যালেন্ডারে। ইতোমধ্যে এ নিয়ে কাজ করছেন শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকরা।