
কয়েকদিনের রক্তক্ষয়ী সামরিক সংঘর্ষের পর স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে তৃতীয় দিনের মতো আলোচনায় বসেছে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। আলোচনার এই ধাপে কাবুল সংলাপ ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার আহ্বান জানিয়েছে।
দুই সপ্তাহ আগে কাবুলের একাধিক স্থানে বিস্ফোরণের পর সীমান্তে অভিযান চালায় আফগান বাহিনী। এরপর উভয় দেশের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে বেসামরিকসহ দুই পক্ষেরই বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানও আফগান ভূখণ্ডে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায়। এটি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সহিংসতা বাড়িয়ে তোলে। পরবর্তীতে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় দোহায় দেশ দুটি একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়।
গত শনিবার ইস্তাম্বুলে নতুন করে শুরু হওয়া আলোচনার লক্ষ্য হলো- এই নাজুক যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার জন্য কার্যকর প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা ও নতুন করে সংঘাত প্রতিরোধ করা।
আফগান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ সোমবার এএফপিকে বলেন, ‘আলোচনার দ্বিতীয় ধাপ চলছে, এখনই ফলাফল অনুমান করা যাবে না। বৈঠক শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংকটের একমাত্র সমাধান হলো সংলাপ ও পারস্পরিক বোঝাপড়া।’
পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্র দাবি করেছে, আলোচনায় অগ্রগতি নির্ভর করছে আফগান তালেবানের ইতিবাচক মনোভাবের ওপর। তারা অভিযোগ করেছে, তালেবান প্রতিনিধিরা ‘জেদ ও অনীহা’ দেখাচ্ছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ শনিবার সতর্ক করে বলেন, সমঝোতা না হলে বর্তমান পরিস্থিতি ‘খোলামেলা যুদ্ধে’ রূপ নিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘যদি কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে আমরা তাদের সঙ্গে খোলাখুলি যুদ্ধে যাব।’