
দীর্ঘস্থায়ী জ্বালানি সংকটের কারণে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সারাদেশে সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অবরোধে জ্বালানি সরবরাহ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ায় দেশটি এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ওআরটিএমে সম্প্রচারিত এক বার্তায় মালির শিক্ষামন্ত্রী আমাদু সি সাভানে জানান, দেশজুড়ে ২৭ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ১০ নভেম্বর থেকে ক্লাস পুনরায় শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মালিতে জ্বালানি সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, কারণ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ট্যাংকার চলাচলের রাস্তাগুলো অবরোধ করে রেখেছে, বিশেষ করে রাজধানী বামাকোর আশপাশের এলাকায়। এর ফলে পেট্রলপাম্পে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে এবং গণপরিবহন ও মোটরসাইকেল ট্যাক্সি সেবা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। যে শহরটি সাধারণত মানুষের ভিড়ে সরগরম থাকে, সেই বামাকো এখন অস্বাভাবিকভাবে নিস্তব্ধ।
এছাড়া, জ্বালানি সংকটে রাজধানীর বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ক্লাস স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে, কারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জ্বালানি সংকটের কারণে ক্যাম্পাসে যেতে পারছেন না।
এদিকে, জ্বালানি সংকট ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে মালিতে থাকা প্রয়োজনীয় নয় এমন কূটনৈতিক কর্মী ও তাদের পরিবারকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বামাকোতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস জানায়, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি সংকট ও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে দূতাবাস জানায় যে, রাজধানীর বাইরে নিয়মিত বা জরুরি কনস্যুলার সেবা প্রদান করা সম্ভব নয় এবং দেশটিতে ভ্রমণবিষয়ক সতর্কতা বহাল রয়েছে।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড