
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আসন্ন বৈঠকের আগে বাণিজ্য চুক্তির কাঠামোয় ঐকমত্যে পৌঁছেছে দুই দেশ। কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের পার্শ্ব বৈঠকে রবিবার উভয় পক্ষের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তাদের মধ্যে এ সমঝোতা হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রবিবার পঞ্চম দফা সরাসরি আলোচনায় অংশ নেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এবং চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হে লিফেং ও প্রধান বাণিজ্য আলোচক লি চেংগ্যাং। আলোচনার পর বেসেন্ট বলেন, আমরা একটি সফল কাঠামো তৈরি করেছি, যা নেতাদের আলোচনার জন্য প্রস্তুত। বৃহস্পতিবারের বৈঠক ফলপ্রসূ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বেসেন্ট মার্কিন টেলিভিশন এনবিসিকে জানান, প্রাথমিক চুক্তির মাধ্যমে চীনের রেয়ার আর্থ খনিজ ও চুম্বক রফতানির ওপর সম্প্রসারিত নিয়ন্ত্রণ স্থগিত হতে পারে এবং ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ১০০ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপও এড়ানো সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, ট্রাম্প ও শি-র মধ্যে আলোচনায় থাকবে মার্কিন কৃষিপণ্যের, বিশেষ করে সয়াবিন রফতানি, বাণিজ্য ভারসাম্য এবং ফেন্টানিল সংকট মোকাবিলা। যুক্তরাষ্ট্রে এই মাদক সংকটের কারণেই চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।
চীনা আলোচক লি চেংগ্যাং বলেন, আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে একমত হয়েছি। এখন দুই দেশই নিজেদের অভ্যন্তরীণ অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কঠোর ছিল, কিন্তু আমরা গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সম্ভাব্য সমাধান খুঁজেছি।
ট্রাম্প পাঁচ দিনের এশিয়া সফরের প্রথম ধাপে রবিবার মালয়েশিয়ায় পৌঁছান। সফরের চূড়ান্ত দিনে ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার মুখোমুখি বৈঠক হওয়ার কথা।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।