
দীর্ঘ পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর রোববার (২৬ অক্টোবর) থেকে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করছে চীন ও ভারত। এই পদক্ষেপকে এশিয়ার দুই বড় রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এই দুই প্রতিবেশী এখনো কৌশলগত দিক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী। আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে শীতল প্রতিযোগিতাও চলছে। যদিও ২০২০ সালের সীমান্ত সংঘর্ষের পর থেকে ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ভারত সরকার জানিয়েছে, সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু হওয়ায় দুই দেশের জনগণের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ বাড়বে এবং দ্বিপাক্ষিক লেনদেন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।
বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক যখন উন্নয়ন হচ্ছে, ঠিক তখনই ভারতের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মুখে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। ট্রাম্পের অভিযোগ, ভারত মস্কোর তেল কিনে রাশিয়ার যুদ্ধকে উৎসাহ দিচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের অনুসারে, ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক এয়ারলাইন ‘ইন্ডিগো’ কলকাতা থেকে প্রথমবারের মত দৈনিক ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এটি স্থানীয় সময় রাত ১০টায় গুয়াংঝুর উদ্দেশে রওনা হবে।
ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের সভপাতি রাজীব সিং এএফপির সাংবাদিকদের বলেন, সরাসরি বিমান চলাচলে পণ্য পরিবহন ও যাত্রার সময় কমবে। এটি ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ভালো হবে।
ভারতের পূর্ব উপকূলীয় বন্দরনগরী কলকাতার সঙ্গে চীনের শত বছরের পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। বৃটিশ শাসনের সময় চীনা ব্যবসায়ীরা সেখানে অভিবাসী হিসেবে বসবাস করতেন। এ জন্যই ইন্দো-চাইনিজ ফিউশন খাবার এখনো কলকাতার মানুষের কাছে জনপ্রিয়।
কলকাতার ট্যাংরা এলাকার চায়নাটাউনের সিভিল সোসাইটি নেতা চেন খোই কুই বলেন, চীনে যাদের আমাদের মতো আত্মীয়-স্বজন আছে, তাদের জন্য এটি দারুণ খবর। আকাশপথের এই সংযোগ বাণিজ্য, পর্যটন ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়াবে।