
বগুড়ায় ঘটনার সাড়ে ১৪ মাসেরও বেশি সময় পর সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭২ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন শহরের নাটাইপাড়া এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো. আরাফ। মামলায় আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বাদী আরাফ অভিযোগ করেছেন, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি বড়গোলা সড়কে “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের” মিছিলে অংশ নেওয়ার সময় অভিযুক্তরা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন—তার শরীরে ৪৩টি গুলি বিদ্ধ হয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরাফ বলেন, আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে বনানী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে ভর্তি করা হয়নি। পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখানে চিকিৎসা পেতে বাধা দেওয়া হয়। অবশেষে বাসায় চিকিৎসা নেন তিনি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি পুনরায় ওই হাসপাতালে ভর্তি হন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
এ ছাড়াও কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকের নামও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।