
পিচ বিতর্কে শুরু হলেও সিরিজের শেষটা মিরাজের জন্য ছিল আনন্দের। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে অধিনায়ক হিসেবে এটি তার প্রথম সিরিজ জয়। তবে এমন সাফল্যের রাতেও তাকে মুখোমুখি হতে হলো মিরপুরের কালো মাটির উইকেট ও নিজের অধিনায়কত্ব ঘিরে চলা সমালোচনার প্রশ্নের।
প্রথম ওয়ানডের আগেই মিরপুরের পিচ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে পুরো ৫০ ওভার স্পিন দিয়ে করিয়ে রেকর্ড গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এত ঘুরপাকের পরও সিরিজে ধবলধোলাই না করতে পারায় সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়।
মিরাজ অবশ্য বললেন, সব ম্যাচে এমন উইকেট থাকবে না। তার ভাষায়, ‘আমাদের তো ঘরের মাঠে আরও অনেক সিরিজ আছে। আমরা যে সব ম্যাচই এখানে (মিরপুরে) খেলব, এ রকম কিছু নয়।’
২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়াতে। র্যাঙ্কিংয়ে অন্তত সেরা নয়ের মধ্যে থাকতে না পারলে সরাসরি খেলতে পারবে না বাংলাদেশ। তাই ঘরের মাঠের সিরিজগুলোতে নিজেদের শক্তি কাজে লাগানো জরুরি মনে করেন মিরাজ।
তবে প্রশ্ন উঠেছিল—এ রকম উইকেটে খেলে অভ্যস্ত হয়ে গেলে পরের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভুগবে কি না। উত্তরে মিরাজ বলেন, ‘বিশ্বকাপের পরিকল্পনা হওয়া উচিত দুই থেকে তিন মাস আগে থেকে। বিশ্বকাপের আগে আমরা কীভাবে খেলব, স্কিল ক্যাম্প করব, প্রস্তুতি নেব—সেগুলো তখন ভাবতে হবে। তবে দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলোতে ঘরের মাঠের সুবিধা নেওয়াটা আমার মনে হয় খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
শেষ ওয়ানডেতে ১৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। অধিনায়ক তাদের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমরা ওপরের দিকে অনেক দিন এমন জুটি পাইনি। যখন ওপেনিং থেকে এমন শুরু হয়, তখন দলের মানসিকতাই বদলে যায়। দুজনই যেভাবে ব্যাট করেছে, অবশ্যই তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’
অন্যদিকে, স্পিন-সহায়ক উইকেটের এই সিরিজটা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে জয়টাই ছিল তাদের একমাত্র সান্ত্বনা। ম্যাচ শেষে স্যামি বলেন, ‘আমি অনেক হতাশ এই সিরিজ নিয়ে। বাংলাদেশ খুব ভালো খেলেছে, তাদের অভিনন্দন। আমরা ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—কোনো ক্ষেত্রেই তাদের মতো ভালো করতে পারিনি। কৃতিত্বটা তাদেরই দিতে হবে।’