
বিসিবি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পানি ঘোলা হয়েছে। নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দেয় ঢাকা ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স অ্যাসোসিয়েশন। দ্বিতীয় দফায় বোর্ড প্রধানের দায়িত্ব পাওয়া আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে ‘অবৈধ সভাপতি’ বলেও ঘোষণা দেয় তারা। তাতে দেশের ক্রিকেটে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
এবার দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের আকাশ থেকে কালো মেঘ সরে গেছে। আগামী মাসে শুরু হবে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের নতুন মৌসুম। প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ দিয়ে এবারের মৌসুম শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন সিসিডিএম (ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস) চেয়ারম্যান আদনার রহমান দীপন। গতকাল বিসিবিতে প্রথম বিভাগ ২০টি ক্লাবের মধ্যে ১৬টির সঙ্গে বৈঠক করে সিসিডিএম।
বৈঠকে সন্তুষ্ট হয়েছেন ক্লাব কর্মকর্তারা। বাকি চার ক্লাবও মাঠে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান সিসিডিএম চেয়ারম্যান দীপন। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা প্রথম বিভাগের দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছি। প্রায় সব ক্লাবই উপস্থিত ছিল এবং কেউই বলেনি যে তারা খেলবে না। সবাই মৌসুমে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যদিও সময়সূচি নিয়ে সামান্য কিছু মতপার্থক্য ছিল। ভালো খবর হলো, সবাই খেলতে আগ্রহী, আর আমরা খুব শিগগিরই লিগ শুরুর তারিখ ঘোষণা করবো।’
তবে কবে নাগাদ মাঠে গড়াবে খেলা, সেই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই প্রথম বিভাগ লিগ চালু করতে চায় বিসিবি। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ-তিনটি লিগই একসঙ্গে চালাবে বিসিবি। তবে এখনই প্রিমিয়ার বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন দীপন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, এখনই বিপিএল আয়োজন করলে জাতীয় দলের ব্যস্ততা ও জাতীয় ক্রিকেট লিগের কারণে সূচিতে সংঘাত হবে। যার কারণে সূচির ফাঁকে বিপিএল আয়োজন করতে চায় বিসিবি।
এছাড়া নানান সময় প্রথম বিভাগের ক্রিকেটে বরাদ্দ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল অনেক ক্লাব। এবার সেই দিকে নজর দিয়েছে। আগে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে পার্টিসিপেশন মানি ছিল ৯ লাখ টাকা। এবার তা ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে। এতে সাড়ে চার লাখ টাকা বেশি দেবে সিসিডিএম। জার্সি ও ব্যাগপ্যাক বাবদ আরও ১ লাখ সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকা করে পাবে ক্লাবগুলো।