
কমলাপুর স্টেডিয়াম এবং বাফুফে ভবনের পাশে পুরোনো টার্ফ তুলে নতুন করে দুটি টার্ফ স্থাপন করা হয়েছে। এই দুটি টার্ফ স্থাপন করতে গিয়ে অনেক দিন খেলা বন্ধ ছিল। টার্ফ দুটি খেলার জন্য প্রস্তুত। গত ১৪ অক্টোবর কমলাপুর এবং বাফুফে ভনের টার্ফ উদ্বোধন করা হয়েছে। কমলাপুরে টার্ফ উদ্বোধন করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বাফুফে ভবনের টার্ফ উদ্বোধন করেন সভাপতি তাবিথ আউয়াল। কর্মকর্তারা মনে করছেন এটি বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য উজ্জ্বল দিন।
টার্ফ দুটি খেলার জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঘরোয়া ফুটবল আয়োজন আরও গতি পাবে বলে মনে করে ফিফা। ফিফার অফিশিয়াল নিউজে এই উদ্যোগকে বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নের একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন টার্ফ ফুটবলারদের জন্য বাড়তি প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। ভালো যেভাবে একজন ভালো খেলোয়াড়কে উজ্জীবিত করে, ঠিক তেমনি নতুন টার্ফ একজন ফুটবলারকে নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরতে প্রেরণা দেয়। নিউজে বলা হয়েছে ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের আওতায় ১.০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে টার্ফ দুটি স্থাপন করা হয়েছে।
টার্ফ দুটি স্থাপনে ফিফা পুরো অর্থ ব্যয় করেছে। ফিফা তাদের পছন্দ মতো একটি প্রতিষ্ঠান ডাচ কোম্পানিকে টার্ফ স্থানের দায়িত্ব দেয়। ডাচ কোম্পানি সহযোগিতা করার জন্য আরও সাবকন্টাক্ট দেয় স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে। ফিফা সরাসরি ডাচ প্রতিষ্ঠানকে অর্থ প্রদান করে।
দুই টার্ফে মাঠে নতুন পানি দেওয়ার জন্য স্প্রিংকলার স্থাপন করা হয়েছে। আর বাফুফে ভবনের মাঠে নতুন ড্রেসিংরুম নির্মাণ করা হয়েছে। টার্ফ দুটি প্রায় ১২ বছর পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য। এগুলো ব্যবহার করা হবে জুনিয়র ডিভিশনের ফুটবল টুর্নামেন্টসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার জন্য।
ফিফার নিউজে বলা হয়েছে, নতুন টার্ফগুলো সব স্তরের খেলোয়াড়ের সুযোগ বাড়াবে। বাংলাদেশের ফুটবল সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে। ইনসাইড ফিফার প্রতিবেদনে ফিফা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাম্প্রতিক সাফল্য এবং অগ্রগতি আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের ফুটবলের মান বৃদ্ধি করছে। ফুটবল উন্নয়নের প্রতি ফিফার ব্যাপক অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে নতুন টার্ফগুলো দেশের ফুটবল উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ভবিষ্যতে কক্সবাজারে জাতীয় টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাফুফে। যা দেশের ফুটবলের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের পথকে আরো দৃঢ় করবে। ইনসাইড ফিফার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন দুইটি টার্ফ শুধু অবকাঠামো নয়; বরং বাংলাদেশের ফুটবল স্বপ্ন, সম্ভাবনা এবং খেলোয়াড়দের জন্য নতুন সুযোগের প্রতীক হিসেবে ধরা হচ্ছে। ফিফার সরাসরি এবং পরোক্ষ প্রশংসা নিশ্চিত করছে যে বাংলাদেশের ফুটবল সম্প্রদায়ের উদ্যম এবং অগ্রগতিকে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।