
বেলারুশ থেকে লিথুয়ানিয়ায় সিগারেট পরিবহনের জন্য চোরাকারবারিদের পাঠানো কয়েক ডজন বেলুনের কারণে ভিলনিয়াস বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বুধবার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা ৩০টা পর্যন্ত রাজধানীর প্রধান বিমানবন্দরটি বন্ধ ছিল।
প্রতিবেদন অনুসারে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে তামাকজাত পণ্যের দাম বেশি। তাই চোরাকারবারীরা বেলুন ব্যবহার করে বেলারুশিয়ান সিগারেট ইউরোপীয় ইউনিয়নে পাঠায়।
লিথুয়ানিয়ার জাতীয় সংকট ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের প্রধান ভিলমান্তাস ভিটকাউসকাস সর্বশেষ বেলুনকাণ্ডকে ‘এই বছরের সবচেয়ে বড়’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
বাল্টিক সংবাদ সংস্থা বিএনএস ভিটকাউসকাসকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘বেসামরিক বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য’ ফ্লাইট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
লিথুয়ানিয়ান সীমান্তরক্ষীরা জানিয়েছেন, বুধবার বিমানবন্দরটি পুনরায় খোলার আগে রাতভর লিথুয়ানিয়া ও বেলারুশের মধ্যে দুটি স্থল সীমান্ত ক্রসিংয়েও যান চলাচল বন্ধ ছিল।
লিথুয়ানিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গা রুগিনিয়েনে ভবিষ্যতে অনুরূপ ঘটনা রোধে বেলারুশের কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বেলারুশকে ‘রাজনৈতিক সম্পর্ক নির্বিশেষে ঘটনাগুলোর প্রতি একটি দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের’ আহ্বান জানিয়েছেন।
রুগিনিয়ে বলেন, এত বেলুন আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করছে, এটা স্বাভাবিক নয়। কৌশলগত স্থান এবং স্থাপনা থেকে দূরে রাখতে বেলুনগুলো আটকাতে হবে।
গত ৫ অক্টোবর একই ধরণের একটি ঘটনায় ভিলনিয়াস বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তখন অন্তত ২৫টি বেলুন লিথুয়ানিয়ান আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল।
এই বছরের শুরুতেও বিমানবন্দরসহ লিথুয়ানিয়ান মাটিতে একই ধরণের বেলুন অবতরণ করে। গত বছর থেকে সীমান্তরক্ষীদের সেগুলো গুলি করে ভূপাতিত করার অধিকার দেওয়া হয়।
এই মাসে প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুসারে, গত বছর মোট ৯৬৬টি বেলুন লিথুয়ানিয়ায় প্রবেশ করেছে। এ বছর এখন পর্যন্ত ৫০০টিরও বেশি বেলুন প্রবেশ করেছে।