
দক্ষিণ চীন সাগরকে ঘিরে চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, যেখানে চীন অভিযোগ করেছে যে অস্ট্রেলিয়া তাদের সামরিক বিমানের চীনা আকাশসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনাটি আড়াল করার চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াং বিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বিমান চীনের আকাশসীমায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করেছে এবং এই গুরুতর অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনাটি আড়াল করতে অস্ট্রেলিয়া চেষ্টা করছে।’ তিনি জানান, এই ঘটনার জন্য চীন অস্ট্রেলিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কঠোর প্রতিবাদ’ জানিয়েছে।
জিয়াং বিন আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রকাশিত বিবৃতি প্রকৃত ঘটনাকে বিকৃত করছে এবং চীনের ওপর দায় চাপাচ্ছে। তিনি অস্ট্রেলিয়াকে আহ্বান জানান, তাদের নৌ ও বিমান বাহিনীর সামনের সারির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং দুই দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না করতে।
চীনের এই প্রতিক্রিয়া আসে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একদিন আগের বিবৃতির জবাবে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া জানায় যে, রোববার (১৯ অক্টোবর) দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের বিমানবাহিনীর একটি টহল বিমানের কাছাকাছি চীনা বিমান ‘বিপজ্জনকভাবে ফ্লেয়ার নিক্ষেপ করে’। অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে দীর্ঘদিন ধরে ওই অঞ্চলে সামুদ্রিক নজরদারি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তবে, অস্ট্রেলিয়া নির্দিষ্ট করে জানায়নি যে, ঘটনাটি দক্ষিণ চীন সাগরের কোন অংশে ঘটেছে। অন্যদিকে, চীন দাবি করেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তাদের ‘শিশা দ্বীপপুঞ্জের’ আকাশসীমায় (যা ইংরেজিতে Paracel Islands নামে পরিচিত)। চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে এই সর্বশেষ অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ দুই দেশের সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের উত্তেজনা দক্ষিণ চীন সাগরে আন্তর্জাতিক টহল ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর আরও প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: আল জাজিরা