
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ুং বলেছেন, তারদের দেশ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম শক্তিশালী প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশটি ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশ গবেষণায় ‘প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বাজেট’ বরাদ্দ করবে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দক্ষিণ কোরিয়ার সর্ববৃহৎ অস্ত্র মেলা সিউল আন্তর্জাতিক মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
দেশটি বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা বিক্রয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে হাউইটজার থেকে শুরু করে আত্মঘাতী ড্রোন, নতুন মানবহীন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-উন্নত অস্ত্র প্রদর্শন করেছে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (SIPRI) শীর্ষ ১০০ অস্ত্র কোম্পানির তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের হিসাবে অস্ত্র বিক্রিতে দক্ষিণ কোরিয়া দশম স্থানে রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট লি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা শিল্পের শীর্ষ চারটি পাওয়ারহাউসের মধ্যে একটি হওয়া কোনোভাবেই অসম্ভব স্বপ্ন নয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা খাতে বিশেষ সেমিকন্ডাক্টরের মতো স্বাধীনভাবে সুরক্ষিত প্রযুক্তি, যন্ত্রাংশ এবং উপকরণের উন্নয়নে বিনিয়োগকে কেন্দ্রীভূত করে আমরা প্রযুক্তিগত সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করব।’
লি আরও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বিদেশি প্রতিরক্ষা অংশীদারদের কাছে কেবল নিজেদের অস্ত্র ব্যবস্থাই নয়, বরং ‘একটি শিল্পের ভিত্তি তৈরির প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা’ শেয়ার করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিশেষ করে রশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়া দ্রুততম বর্ধনশীল অস্ত্র রপ্তানিকারকদের একটি হয়ে উঠেছে। হাউইটজার এবং গোলাবারুদ থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধজাহাজ পর্যন্ত সবকিছু বিক্রির জন্য বহু বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করেছে তারা।