
দেশের ফুটবলে নারীদের পারফরম্যান্স সবচেয়ে ভালো। নারী ফুটবলাররা উন্নয়নের ধারায় রয়েছে। তারা সাফল্য দিচ্ছে। বিশেষ করে বয়সভিত্তিক ফুটবলে বাংলাদেশের নারী খেলোয়াড়রা উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সঙ্গে সঙ্গে সাফল্যও উপহার দিয়েছে বাংলাদেশকে।
নারী ফুটবলাররা কোথাও খেলতে গেলে সাফল্য আসছে। কিন্তু এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবলের বাছাইয়ে বাংলাদেশের ভরাডুবি হয়েছে। লজ্জাজনক পারফরম্যান্স করেছে। গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক জর্ডানের বিপক্ষে ১-১ গোলে করার করার পর চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে ৫-০ গোলে হেরেছে। ২ ম্যাচে ৬ গোল হজমের লজ্জা নিয়ে গতকাল ঢাকায় ফিরেছে কোচ সাইফুল বারী টিটুর অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল।
জর্ডানের বিপক্ষে খেলার ৩ মিনিটে সুরভী আকন্দ প্রীতির গোলে ১-০ তে এগিয়ে থাকা ম্যাচের ৮৯ মিনিটে গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। ইউটিউভে যারা খেলা দেখেছন বুঝতেই পারছিলেন তারা, যে কোনো মুহূর্তে গোল হজম করবে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। দেখে মনে হচ্ছিল দলটাকে গাইড করার কেউ নেই। ফিনিশিং নেই, ডিফেন্স নাই। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে খেলোয়াড়দেরকে সজাগ রাখার চেষ্টা ছিল না।
টিকে থাকার লড়াইয়ে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে জিততে হবে। সেই ম্যাচে ৫ গোল হজম করেছে। গোল হজমের চিত্র গুলো দেখে বয়সভিত্তিক ফুটবলের উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। খেলোয়াড়রা যেন আত্মসমর্পণ করেছে। চাইনিজ তাইপে শক্তিশালী দল, কিন্তু গোল খাওয়ার চিত্র হতাশ করেছে।
শক্তিশালী দল বলেই জর্ডানে যাওয়ার আগে এই দলটাকে প্রস্তুতি নিতে আরব আমিরাতে পাঠিয়েছিলেন বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল। তিনি আশা করেছিলেন আগামী বছর চীনে মূল পর্বে খেলতে হলে বাছাইয়ে টিকতে হবে। অনূর্ধ্ব-১৭ দলের জন্য বাড়তি টাকা খরচ করে আরব আমিরাতে পাঠিয়ে ছিলেন তিনি। তার আশার গুড়ে বালি। একটা দল হারতেই পারে, কিন্তু যেভাবে গোল হজম করেছে, তা মেনে নেওয়ার মতো না।