
জয় দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭৪ রানে জয় পায় টাইগাররা। তবে জয়কে পাশ কাটিয়ে আলোচনায় আসে মিরপুর শেরে বাংলার উইকেট। ঘন কালো উইকেটে বাড়তি সহায়তা পান স্পিনাররা। অন্যদিকে বেশ ভুগতে হয়েছে ব্যাটারদের।
এমন কালো মাটির উইকেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ড্যারেন স্যামি সোজা সাপ্টা বলেছিলেন, এমন কালো মাটির উইকেট তিনি তার পুরো ক্যারিয়ারে দেখেননি।
মিরপুরের চেয়েও কালো মাটির উইকেট দেখেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ। ১৯৯৯ সালের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি টেস্টে ভারতের কাছে ২১২ রানে হেরে যায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে অনিল কুম্বলের বোলিং তোপে পড়ে ২০৭ রানে অলআউট হয় সফরকারী দল। পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেওয়ার পথে সবকটি উইকেটই নেন সাবেক এই লেগ স্পিনার। মুশতাকের দাবি, সে ম্যাচের উইকেট মিরপুরের চেয়েও বাজে ছিল।
মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে মিরপুরের চেয়ে কালো উইকেট অনেকবার দেখেছি। অনিল কুম্বলে যেবার ইনিংসে ১০ উইকেট পেল, সেই উইকেট মিরপুরের চেয়ে বাজে ছিল।’
প্রথম ওয়ানডেতে ২০৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে টাইগার লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়ানরা। একাই ৬ উইকেট শিকার করেন রিশাদ।
মিরপুরের টার্নিং উইকেটে স্পিনাররা কীভাবে আরও ভালো করতে পারে সে পরামর্শ দিয়ে মুশতাক বলেন, ‘এমন পিচে স্পিনার হিসেবে আপনি উত্তেজিত হবেন, কিন্তু উত্তেজনা আপনার ভালো করার প্রক্রিয়া ভুলিয়ে দিতে পারে। প্রক্রিয়া-ই সব। উইকেট পেতে হলে ভালো ওভার করতে হয়, শুধু ভালো বোলিং নয়। ঘোরানো পিচে আমার বার্তাটি সহজ। ভালো বোলিং করো, উইকেট আসবেই। তোমার প্রক্রিয়াটি মনে রাখো এবং বিশ্বাস রাখো।’