
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র আরাকান আর্মির নেতৃত্বে থাকা তুন মিয়াত নাইং জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য কেবল সামরিক নয়, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবেও অঞ্চলকে শক্তিশালী করা। তিনি বলেন, ‘চীন, ভারত ও থাইল্যান্ডকে বিবেচনায় রেখে আমরা রাখাইন রাজ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছি। বিদেশি বিনিয়োগ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, কিন্তু তা আমাদের জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।’
সম্প্রতি ইরাবতী ম্যাগাজিন তিন কিস্তিতে তার দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইরাবতীর এডিটর-ইন চিফ অং জ।
সাক্ষাৎকারে তুন মিয়াত নাইং বলেন, বাংলাদেশ ও আরাকান আর্মির মধ্যে সম্পর্ক শুরুর দিকে ইতিবাচক মনে হলেও শরণার্থী ইস্যুতে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। শরণার্থী প্রত্যাবাসনে নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন তিনি।
রাখাইন রাজ্যে বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের কৌশলগত সম্পদকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হবে। চীন ও ভারতের বিনিয়োগ আমাদের জন্য সুবিধাজনক, কিন্তু তা জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে।’
জোট ও প্রতিরোধ আন্দোলন সম্পর্কেও তুন মিয়াত নাইং বলেন, ‘অপারেশন ১০২৭’-এর সময় গঠিত জোট নীতিগতভাবে এখনো ঐক্যবদ্ধ, তবে কাজের ধরণ আগের মতো নেই। একসাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।
তিনি স্পষ্ট করেন, আরাকান আর্মি একটি ‘সরকারের মতো’ কৌশলগত চিন্তাভাবনা করছে। ভবিষ্যতে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটির কৌশল হবে সাবধান এবং বাস্তববাদী।