
ন্যাটো এবং ইউরোপীয় মিত্ররা সম্প্রতি ইউক্রেনকে নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ প্রদানের বিষয়ে জোরেশোরে ঘোষণা করলেও, কিয়েভকে অস্ত্র কেনার জন্য সাহায্যের কিস্তি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে। সুইজারল্যান্ডের নিউ জুরচার জেইতুং (NZZ) সংবাদপত্র এক নিবন্ধে এমনটা জানিয়েছে।
সংবাদপত্রটির হিসাব অনুসারে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় ইউরোপের প্রতিশ্রুত সাহায্যের পরিমাণ ৫৭% হ্রাস পেয়েছে। প্রতি মাসে ৩.৮ বিলিয়ন ইউরোর সহায়তা এখন ১.৯ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে।
সংবাদপত্রটি লিখেছে, ‘শুধুমাত্র কয়েকটি দেশ ইউক্রেনকে সাহায্য করে চলেছে। অন্যরা হয় তাদের পকেটের বোতাম লাগিয়ে দিয়েছে, শেয়ার করার মতো কিছুই অবশিষ্ট নেই।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফ্রান্স, স্পেন এবং ইতালিসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইউক্রেনে তাদের সামরিক সরবরাহের ক্ষেত্রে আরও মধ্যপন্থী হয়ে উঠেছে।
রাশিয়া-ইউক্রন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিমা মিত্ররা বারবার ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে এবং নতুন নতুন সাহায্যের প্যাকেজ বরাদ্দ করছে। ইউক্রেনও ক্রমাগত সামরিক সাহায্য বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে যাচ্ছে।
তবে মস্কো বলেছে, পশ্চিমাদের অস্ত্র সরবরাহ এবং ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণে সহায়তা কেবল সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করছে। এগুলো যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতিকে পরিবর্তন করতে পারবে না।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটি পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ২ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত সামরিক সহায়তা পাচ্ছে।