Dark Mode Light Mode

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Follow Us
Follow Us
English English

ক্রিকেটে নতুন ফরম্যাট টেস্ট-টোয়েন্টি, খেলা হবে যেভাবে

ক্রিকেটে নতুন ফরম্যাট টেস্ট-টোয়েন্টি, খেলা হবে যেভাবে ক্রিকেটে নতুন ফরম্যাট টেস্ট-টোয়েন্টি, খেলা হবে যেভাবে
ক্রিকেটে নতুন ফরম্যাট টেস্ট-টোয়েন্টি, খেলা হবে যেভাবে


টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি—এই তিন সংস্করণের ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচিত বিশ্ব। তবে এবার আরও এক সংস্করণ আসছে ক্রিকেটে। যার নাম দেওয়া হয়েছে টেস্ট-টোয়েন্টি। এটি মূলত টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির মিশ্রণ, বিশেষভাবে ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী তরুণদের জন্য তৈরি।

সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফরম্যাটের ঘোষণা দিয়েছেন ক্রীড়া উদ্যোক্তা ও ‘ওয়ান ওয়ান সিক্স নেটওয়ার্ক’-এর কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান গৌরব বাহিরওয়ানি। যুক্ত ছিলেন ম্যাথু হেইডেন, হরভজন সিং, ক্লাইভ লয়েড ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা।

Advertisement

ক্রিকেটের নতুন এই ফরম্যাট নিয়ে বেশ আগ্রহী ভক্তরা। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, কীভাবে খেলা হবে এ ফরম্যাটে? কেনই বা এর নাম টেস্ট-টোয়েন্টি? 

খেলার নিয়ম 

টেস্ট-টোয়েন্টি ফরম্যাটের একটি ম্যাচে মোট ৮০ ওভার থাকবে। প্রতিটি দল খেলবে দুটি ইনিংসে ২০ ওভার করে। টেস্ট ম্যাচের মতোই প্রতিটি ইনিংসের স্কোর যোগ হবে মোট ফলে। অর্থাৎ, ম্যাচ শেষ হতে পারে জয়, পরাজয়, টাই বা ড্র—সবভাবেই। ড্র ঘোষণা করা হবে তখনই, যখন শেষ ইনিংসে ব্যাট করা দল শেষ বল পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি উইকেট হাতে রাখবে। তবে ম্যাচ ড্র হলে অনুষ্ঠিত হবে সুপার ওভারও। এই খেলাটি একদিনেই অনুষ্ঠিত হবে। 
 
টেস্ট-টোয়েন্টিতে প্রতিটি দল একবার ‘পাওয়ার প্লে’ নেওয়ার সুযোগ পাবে। অধিনায়ক চাইলে প্রথম ইনিংসেই নিতে পারেন, অথবা রেখে দিতে পারেন দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য। চার ওভারের এই সময়টায় ৩০ গজের বৃত্তের বাইরে মাত্র দুই ফিল্ডার রাখা যাবে। আয়োজকদের দাবি, কখন পাওয়ার প্লে নেওয়া হবে—এই সিদ্ধান্তটাই বাড়াবে কৌশল, শৃঙ্খলা আর ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা।

আরেকটি নিয়ম—‘ফলো–অন’। টেস্টের মতোই প্রতিপক্ষ দল পিছিয়ে থাকলে এটি প্রয়োগ করা যাবে, তবে ব্যবধান হবে মাত্র ৭৫ রান (টেস্টে ২০০)। এ ছাড়া আছে নতুনত্ব—‘আর্লি কলাপ্স ক্লজ’। কোনো দল যদি প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষকে ১০ ওভারের কমে অলআউট করে দিতে পারে, তাহলে তারা তাদের নিজস্ব ইনিংসে তিন ওভার অতিরিক্ত খেলতে পারবে।

প্রতিটি ম্যাচে সর্বোচ্চ পাঁচজন বোলার ব্যবহার করা যাবে। একজন বোলার সর্বোচ্চ ৮ ওভার করতে পারবেন, তবে তা দুই ইনিংসে ভাগ করে নিতে হবে—যেমন প্রথম ইনিংসে ৩ ওভার, দ্বিতীয়তে ৫ ওভার।

কোথায় হবে এই টুর্নামেন্ট?

প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হবে প্রথম মৌসুম। জুনিয়র টেস্ট-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ নামে শুরু হবে এটি। প্রথম মৌসুম হবে ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ক্রিকেটারদের নিয়ে মাঠে গড়াবে। এটির আয়োজক থাকবে ভারত। দ্বিতীয় মৌসুম থেকে নারী ক্রিকেটারদেরও সুযোগ দেওয়া হবে।

প্রথম মৌসুমে অংশ নেবে মোট ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল—দুবাই, লন্ডন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি শহর (এখনও নির্ধারিত হয়নি) এবং ভারতের তিনটি শহর থেকে। খেলোয়াড় নিবন্ধন শুরু হবে ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা (বাংলাদেশ সময়) থেকে।

নির্বাচনের জন্য থাকবে এক অভিনব ব্যবস্থা—‘এআই ডিসকভারি ইঞ্জিন’, যার মাধ্যমে ১০০০ জনের প্রাথমিক তালিকা তৈরি হবে। সেখান থেকে ৩০০ জনের নাম যাবে ‘গ্লোবাল অকশন পুল’-এ, যেখান থেকে প্রতিটি দল গঠন করবে ১৬ সদস্যের স্কোয়াড—৮ জন ভারতীয় এবং ৮ জন বিদেশি খেলোয়াড়।

এখানে থাকবে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, যেমন—এআই–নির্ভর স্কাউটিং, ব্যাট-বল সেন্সর, যা তরুণদের দক্ষতা অনুশীলন ও উন্নয়নে সহায়তা করবে। তরুণ ক্রিকেটারদের কথা মাথায় রেখে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির সংমিশ্রণে নতুন এই ফরম্যাট আনা হচ্ছে। এই ফরম্যাটে প্রতিটা ম্যাচ চলবে একদিন, প্রতিটা ম্যাচে থাকবে টি-টোয়েন্টির মতো লড়াই।

এই উদ্যোগের পেছনে আছেন যারা

ক্রিকেটের এই সংস্করণ উদ্ভাবন করেছেন ওয়ান-ওয়ান সিক্স নেটওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ক্রীড়া উদ্যোক্তা গৌরব বাহিরভানি। আগামী প্রজন্মের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের খুঁজে বের করাই এর লক্ষ্য। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে বাহিরভানি বলেন, ‘এটি কেবল একটি নতুন লিগ নয়। ক্রিকেটের ঐতিহ্যকে ধরে রেখে ভবিষ্যৎ গড়ার একটি প্রচেষ্টা এটা। আমরা চাই এ সংস্করণের মাধ্যমে প্রজন্মের ক্রিকেটারদের প্রতিভা সঠিকভাবে উদঘাটন ও উদযাপন করা হোক।’

এই নতুন ফরম্যাটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্স। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, ক্রিকেটের এই চতুর্থ ফরম্যাট খেলাটিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। টেস্ট টোয়েন্টি টেস্ট ক্রিকেটকে প্রতিস্থাপন নয়, বরং পুনরায় কল্পনা করার প্রচেষ্টা—পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। এটি একসঙ্গে পুরস্কৃত করবে স্থিতি আর সৃজনশীলতাকে, ধৈর্য আর শক্তিকে—দুই জগতের সেরা মেলবন্ধন।’

এছাড়া পরামর্শক বোর্ডে আছেন আরও তিন কিংবদন্তি—স্যার ক্লাইভ লয়েড, ম্যাথিউ হেইডেন এবং হরভজন সিং। লয়েড বলেন, ‘আমি ক্রিকেটের প্রতিটি যুগ দেখেছি। খেলা সবসময় পরিবর্তন করেছে নিজেকে, কিন্তু এতটা ভাবনাসম্পন্নভাবে আগে কখনো নয়। টেস্ট টোয়েন্টি ফিরিয়ে আনছে ক্রিকেটের শিল্প ও ছন্দ, আর সঙ্গে রাখছে আধুনিক যুগের তেজ।’





Source link

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
এক ঘণ্টায় ৭৩৩ বার পুল-আপ নারী পুলিশ কর্মকর্তার

এক ঘণ্টায় ৭৩৩ বার পুল-আপ নারী পুলিশ কর্মকর্তার

Next Post
দীর্ঘদিন পর গাজায় একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করলেন হাজারো ফিলিস্তিনি

দীর্ঘদিন পর গাজায় একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করলেন হাজারো ফিলিস্তিনি

Advertisement