
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শিগগিরই হাঙ্গেরিতে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) পুতিনের সঙ্গে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ ফোনালাপের পর ট্রাম্প এই বৈঠকের ঘোষণা দেন।
ক্রেমলিনের একজন সহকারী জানিয়েছেন, আলোচনাটি ইতিবাচক ছিল এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলো স্পষ্টভাবে নির্ধারিত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শুরু করবেন বলেও জানানো হয়েছে। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের মধ্যে এমন উচ্চপর্যায়ের বৈঠককে বিশ্লেষকেরা ‘সম্ভাবনার জানালা’ হিসেবে দেখছেন।
এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের ঘোষণার মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এই বৈঠকে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য টমাহক ক্রুজ মিসাইল চাইবেন। ট্রাম্প আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি এই বিষয়টি বিবেচনা করছেন, যা কূটনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি সামরিক সহায়তার নতুন বার্তা বহন করছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
কূটনৈতিক আলোচনা চললেও যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই থামেনি। সবশেষ ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়া ৩০০-এরও বেশি ড্রোন ও ৩৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। সুমি ও খারকিভসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতভর হামলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানায়, আড়াইশ’র বেশি ড্রোন ও পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা সম্ভব হলেও অন্তত ৫১টি সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। চলতি মাসেই ছয়টি বড় হামলায় ইউক্রেনের গ্যাস অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে গ্যাস উৎপাদনে বড় প্রভাব পড়েছে। সামনে শীতের মৌসুমকে ঘিরে এই পরিস্থিতি আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সূত্র: সিএনএন