
ফ্রান্স ও ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দুই ফরাসি নাগরিককে কারাদণ্ড দিয়েছে ইরানের একটি নিম্ন আদালত। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স নিউজ খবর জানায়।
প্যারিস ও তেহরান সম্প্রতি তাদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনায় অগ্রগতির ইঙ্গিত দেওয়ার পরপরই এমন রায় আসলো।
কারাদণ্ড পাওয়া দুইজন হল সেসিল কোলার এবং তার সঙ্গী জ্যাক প্যারিস। তারা ২০২২ সাল থেকে ইরানে আটক রয়েছেন। তারাই বর্তমানে ইরানে বন্দী একমাত্র দুই ফরাসি নাগরিক। গত সপ্তাহে ১৮ বছর বয়সী ফরাসি-জার্মান সাইক্লিস্ট লেনার্ট মনটারলোসকে আদালত গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ থেকে খালাস দেয়। এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিয়ে তাকে আটক করা হয়।
ফরাসি এক নাগরিককে ফ্রান্সের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ৬ বছরের কারাদণ্ড, জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড, এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাকে সহায়তার জন্য ২০ বছরের কারাদণ্ড।
অপর ফরাসি নাগরিককে ফ্রান্সের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড, ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড, এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাকে সহায়তার অভিযোগে ১৭ বছরের কারাদণ্ড।
তবে কাকে কোন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
এই দুইজনই উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ পাবেন।
ফ্রান্স সরকারের দাবি, কোলার ও প্যারিসকে ইরান বেআইনিভাবে আটক রেখেছে। তেহরান তাদেরকে কুখ্যাত এভিন কারাগারে রাখা হয়েছে। এছাড়াও, যথাযথ কূটনৈতিক সহায়তা থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে ইরান এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে, ইরান ফ্রান্সে বসবাসরত ইরানি ছাত্রী মাহদিয়েহ এসফান্দিয়ারিকে বেআইনিভাবে আটকের অভিযোগ তুলেছে, যাকে এ বছর ইসরায়েলবিরোধী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টের কারণে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইরানের বিচার বিভাগীয় মুখপাত্র আসগর জাহাঙ্গীর মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এসফান্দিয়ারির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’, এবং ফ্রান্স তার জামিনে মুক্তির আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার প্রক্রিয়া কিছুটা সময় নিচ্ছে, কিন্তু আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি… আমরা চাই তাকে কোনো শর্ত ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হোক।’