
আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা-২০২৫ রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম প্রাঙ্গণে বৃষ্টির দিনেও জমজমাট। বৃষ্টির মাঝেও ছিল পাঠক ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। এ যেন জনতার ঢল। সব দিক থেকেই মেলা দারুণ জমে উঠেছে শুক্রবার (১০ অক্টোবর)।
প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ছুটির দিনে খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।
বইমেলায় আসেন উত্তরা মাদরাসা আবু হুরাইরা রা.-এর মুহতামিম মুফতি জুনাইদ বলেন, আমাদের প্রকাশনাকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিতে হলে বই সুসম্পাদিত হতে হবে। আর আগামীতে আরও বিস্তৃত জায়গায় মেলা আয়োজনের প্রস্তাব দেন তিনি।
মেলায় ঘুরতে আসা জুবায়ের আহমেদ জানান, ইসলামি বইমেলায় শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন তার ভালো লেগেছে। সে তার বাবার সঙ্গে মেলায় এসেছে।
বই বিক্রেতা শুয়াইব সারোয়ার বলেন, ‘বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। পাঠকরা তাদের পছন্দের বইগুলো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’
এটি একটি ভালো উদ্যোগ। একে বলা যায় ইসলামিক মিলনমেলা। বাচ্চাদের জন্যও সুন্দর সুন্দর বই আছে বলে মন্তব্য করেন মেলায় আগত ক্রেতা ও দর্শক হাফেজ শাব্বির হারুন।
আরেক ক্রেতা মাওলানা নাজমুল হাসান মাসুম বলেন, ‘মেলায় প্রায় সব ধরনের ইসলামি বইই পাওয়া যাচ্ছে। জাতীয় মসজিদের প্রাঙ্গণে হওয়ায় নামাজ শেষে অনেকে বইমেলায় আসছেন।
এবারের বইমেলায় পাকিস্তান, মিশর ও লেবাননের চারটি স্বনামধন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। দেশীয় মিলিয়ে শতাধিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান তাদের নতুন ও জনপ্রিয় বই প্রদর্শন করছে। প্রথমবারের মতো বাইতুল মোকাররমের পূর্ব গেইট থেকে দৈনিক বাংলার মেইন রোড পর্যন্ত স্টল বিস্তৃত হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে শিশুচত্বর, মিডিয়া কর্ণার, মহিলাদের আলাদা বসার স্থান, লিটল ম্যাগাজিন কর্ণার, লেখক কর্ণার, ফুড কর্ণার ও ইনফরমেশন সেন্টার। এছাড়া বিশাল মঞ্চে প্রতিদিন হবে বই মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা সভা ও বিভিন্ন আয়োজন।
বাংলাদেশে ইসলামী বইমেলার সূচনা নব্বইয়ের দশকের শেষভাগে। বর্তমানে এটি দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামি গ্রন্থমেলায় পরিণত হয়েছে। ইসলামী জ্ঞান, সাহিত্য ও গবেষণার প্রসারে এই মেলা বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। পাঠকদের কথা বিবেচনা করে মেলার সময় বাড়ানো হয়েছে আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত।