
চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার রাজনীতিবিদ ও বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ রূপান্তর অর্জনের সংগ্রামে অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন।
ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্র আন্দোলনের নেত্রী হিসেবে, মারিয়া কোরিনা মাচাদো সাম্প্রতিক সময়ে ল্যাটিন আমেরিকায় বেসামরিক সাহসের সবচেয়ে অসাধারণ উদাহরণ।
নোবেল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গত বছর মাচাদোকে আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। তার জীবনের গুরুতর হুমকি থাকা সত্ত্বেও তিনি দেশেই থেকে গেছেন, যা লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে।
মাচাদো শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নির্বাচনের জন্য আলফ্রেড নোবেলের উইলে বর্ণিত তিনটি মানদণ্ড পূরণ করেছেন। তিনি তার দেশের বিরোধীদের একত্রিত করেছেন। ভেনেজুয়েলার সমাজের সামরিকীকরণ প্রতিরোধে তিনি কখনো দ্বিধা করেননি। গণতন্ত্রে শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের জন্য তিনি তার সমর্থনে অবিচল ছিলেন।
২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে, তিনি বিরোধীদলীয় জোটের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন, কিন্তু স্বৈরশাসন তার প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়। পরে অন্য দলের প্রার্থী এডমুন্ডো গনজালেজ উরুতিয়াকে সমর্থন জানান তিনি।
তার নেতৃত্বে শত-সহস্র স্বেচ্ছাসেবক রাজনৈতিক বিভাজন পেরিয়ে একত্রিত হন এবং স্বচ্ছ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। যদিও এই কাজে গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও নিপীড়নের ঝুঁকি ছিল।
নোবেল কমিটি মাচাদোর আন্দোলনকে নাগরিক সাহস, শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ এবং গণতান্ত্রিক দৃঢ়তার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে।
পুরস্কারের অর্থমূল্য ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। পুরস্কার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হবে ১০ ডিসেম্বর, আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে, নরওয়ের রাজধানী ওসলোতে।