
আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় ঘোষণা করা হবে ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার। এই পুরস্কার ঘোষণার আগে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা কে হতে যাচ্ছেন এবারকার বিজয়ী?
সম্প্রতি শান্তিতে নোবেল জয় করেছেন কারাবন্দি ইরানি মানবাধিকারকর্মী নার্গেস মোহাম্মদী (২০২৩), তার আগে দালাই লামা (১৯৮৯) এবং মার্টিন লুথার কিং (১৯৬৪)। এবার গুঞ্জনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন, হোয়াইট হাউসে থাকার সময় তিনি সাতটি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন এজন্যই নোবেলের জন্য তিনি ‘যোগ্য।’
তবে সমালোচকেরা বলছেন, ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে শান্তি নয়, বরং দ্বন্দ্বই বেড়েছে। তার সময়ই তিনি গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার প্রস্তাব দেন, পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুমকি দেন, আন্তর্জাতিক সাহায্য কমিয়ে দেন এবং ব্যাপকভাবে অভিবাসী প্রত্যাবাসন শুরু করেন।
এসব বিতর্কের বাইরে, নরওয়ের অসলোতে আয়োজিত পুরস্কার ঘোষণার আগে ১০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছেন মানবাধিকারকর্মী, রাজনৈতিক নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
আলোচনায় থাকা ১০ প্রার্থী
১. দ্য ইমারজেন্সি রেসপন্স রুমস (সুদানের একটি তৃণমূল-ভিত্তিক উদ্যোগ, যেখানে তরুণরা জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রদান করে, বিশেষ করে যেখানে সরকারি বা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা পৌঁছায় না)।
২. ভলোদিমির জেলেনস্কি (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট)।
৩. রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স-আরএসএফ (তথ্যের স্বাধীনতার অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক একটি অলাভজনক এবং বেসরকারি সংস্থা)।
৪. মাহরং বালুচ (পাকিস্তানি মানবাধিকার কর্মী)
৫. আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)
৬. ইউলিয়া নাভালনায়া (রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির স্ত্রী)
৭. চৌ হ্যাং-তুং (হংকং-ভিত্তিক আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী)
৮. স্ট্যান্ডিং টুগেদার (ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি শান্তি সংস্থা)
৯. শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি (কাতারের প্রধানমন্ত্রী)
১০. ন্যাটো (পশ্চিমা সামরিক জোট)