কয়েক দিন আগেই ভারতের ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন রোহিত শর্মা। যদিও শেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তার নেতৃত্বে শিরোপা জিতেছিল ভারত, তবু আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে বোর্ড নেতৃত্বভার তুলে দিয়েছে তরুণ শুভমান গিলের হাতে। তবে নেতৃত্ব হারালেও ওয়ানডে স্কোয়াডে জায়গা বজায় রেখেছেন ‘হিটম্যান’।
অধিনায়কত্ব হারানোর পর প্রথমবার মুখ খুলে রোহিত জানান, অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে তিনি ভীষণ উদ্দীপ্ত। তার ভাষায়, নেতৃত্ব না থাকলেও দলের সাফল্যই এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমি ব্যাট হাতে সেরাটা দিতে চাই এবং তরুণদের পাশে থাকতে চাই। 
মুম্বাইয়ে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রোহিত বলছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে ভালোবাসি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলাও উপভোগ করি। অস্ট্রেলিয়ার লোকজন ক্রিকেট খুব ভালোবাসেন।’ রোহিত বুঝিয়ে দিয়েছেন, নেতৃত্ব হারালেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একদিনের সিরিজের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তিনি। ভালো পারফরম্যান্স করার ব্যাপারেও তিনি আত্মবিশ্বাসী। তবে নেতৃত্ব হারানো নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি সদ্য সাবেক অধিনায়ক।
নিজের ব্যাটিং উন্নত করার জন্য ভারতীয় দলের সাবেক সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারের কাছে বেশ কিছু দিন অনুশীলন করেছেন রোহিত। ওজনও কমানোর পাশাপাশি ফিটনেসের মান বৃদ্ধি করেছেন। রোহিতের লক্ষ্য ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ খেলা। নেতৃত্বের চাপ না থাকায় তিনি এবার অনেক খোলা মনে খেলতে পারবেন বলে মনে করছেন ক্রিকেট প্রেমীদের একাংশ। তবে যেভাবে তাকে এক দিনের দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা পছন্দ হয়নি অনেকের।
এর আগে রোহিতকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর ব্যাখ্যায় ভারতীয় দলের প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার জানিয়েছেন, মূলত টিম ইন্ডিয়ার হেডকোচ গৌতম গম্ভীরের পরামর্শেই ‘হিটম্যান’-এর জায়গায় অধিনায়ক করা হয়েছে গিলকে। তার কথায়, ‘তিনটি ফরম্যাটে তিনজন আলাদা অধিনায়ক রাখা কার্যত অসম্ভব। এটা দলের জন্য ভালো নয়। একই সঙ্গে এটা কোচের জন্যও সমস্যার কারণ হয়।’
আগারকারের সংযোজন, পরবর্তী বিশ্বকাপ কোথায় হবে, সেটা দেখতে হবে। রোহিতকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর এটাও একটা কারণ। এটা এমন একটা ফরম্যাট, যা এখন সবচেয়ে কম খেলা হয়। দুই বছর অনেকটা সময় মনে হলেও আদতে কিন্তু তা নয়। বিশ্বকাপের আগে বেশি ম্যাচ পাওয়া যাবে না। তাই শুভমানকে এখন থেকেই দায়িত্ব দেওয়া হল। ও যেন এখন থেকেই দল তৈরি করে নিতে পারে।’
উল্লেখ্য, আগামী ১৯ অক্টোবর পার্থে শুরু হবে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। দ্বিতীয় ম্যাচ ২৩ অক্টোবর অ্যাডিলেডে এবং তৃতীয় ম্যাচ ২৫ অক্টোবর সিডনিতে। এই সিরিজে রোহিত ছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন বিরাট কোহলি। গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর তারা আর ভারতের হয়ে খেলেননি।
