
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮০ হাজার অ-অভিবাসী ভিসা বাতিল করা হয়েছে। মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে হামলা ও চুরির মতো অপরাধের জন্য এসব ভিসা বাতিল করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই তথ্য জানান।
ভিসা প্রত্যাহারের এই ধারা ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে শুরু হওয়া ব্যাপক অভিবাসন দমন-পীড়নের প্রতিফলন। দেশটিতে অভূতপূর্ব সংখ্যক অভিবাসীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে বৈধ ভিসাধারীও ছিলেন।
সেই সঙ্গে প্রশাসন ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে আরও কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যাচাই-বাছাই এবং স্ক্রিনিং বৃদ্ধি করা হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, প্রায় ১৬ হাজার ভিসা বাতিলের ঘটনা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো এবং প্রায় ১২ হাজার হামলা ও ৮ হাজার চুরির ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই তিনটি অপরাধ চলতি বছর প্রায় অর্ধেক ভিসা প্রত্যাহারের কারণ।’
আগস্ট মাসে পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, ওয়াশিংটন ৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে। মেয়াদোত্তীর্ণ সময় এবং আইন ভঙ্গের জন্য এসব ভিসা বাতিল করা হয়।
গত মাসে দপ্তরটি আরও জানিয়েছিল, রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যের জন্য কমপক্ষে ছয় জনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মে মাসে বলেছিলেন, তিনি পররাষ্ট্র নীতির অগ্রাধিকারের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে শিক্ষার্থীসহ শত শত, সম্ভবত হাজার হাজার মানুষের ভিসা বাতিল করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন এবং গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের সমালোচনা করার কারণেও শিক্ষার্থী ভিসা ও গ্রিন কার্ডধারীদের বহিষ্কার করা হতে পারে। তাদের কর্মকাণ্ডকে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির জন্য ‘হুমকি’ বলে অভিহিত করা হয়েছে এবং তাদের ‘হামাসপন্থী’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।