Dark Mode Light Mode

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Follow Us
Follow Us
English English

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ছয় দেশে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ছয় দেশে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ছয় দেশে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ছয় দেশে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল


মাত্র ৭২ ঘণ্টায় মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার ছয়টি দেশে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া, তিউনিসিয়া, কাতার ও ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এসব হামলায় প্রায় ২০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, নাইন ইলেভেন হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র যা করেছিল আমরাও এখন তাই করছি। এদিকে কাতারে হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে নেতানিয়াহুর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে।

ছয় দেশে হামলা

Advertisement

গত ৯ সেপ্টেম্বর গাজায় মার্কিন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের সময় কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের একটি অফিস ভবনকে লক্ষ্যবস্তু করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। ঐ হামলায় ছয় জন নিহত হন, যার মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়ার ছেলে হুমাম, তিন জন দেহরক্ষী এবং এক জন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তবে হামলায় শীর্ষ নেতারা বেঁচে গেছেন বলে হামাস জানিয়েছে।

গাজা সংঘাতের পর সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে হামলার পরিধি বাড়িয়েই চলেছে ইসরাইল। সেই ধারাবাহিকতার অংশ ছিল কাতারের দোহায় হামলা। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ষষ্ঠ দেশ হিসেবে কাতারের হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। আর চলতি বছরের শুরু থেকে সপ্তম দেশ হিসেবে আক্রমণের শিকার হয় কাতার।

গত সোমবার ছিল গাজা আগ্রাসনের ৭০২তম দিন। ঐ দিন গাজা জুড়ে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৬৭ জন নিহত এবং ৩২০ জন আহত হয়। এর মধ্যে ১৪ জন নিহত ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে। পরদিন মঙ্গলবার আরো ৮৩ জন নিহত এবং ২২৩ জন আহত হন। গত সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো পূর্ব লেবাননের বেকা ও হারমেল জেলায় হামলা চালায়, যাতে কমপক্ষে পাঁচ জন নিহত হয়। হামলার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করে, তারা হিজবুল্লাহর ব্যবহূত অস্ত্রের গুদাম এবং সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলেও তা লঙ্ঘন করেই নিয়মিত এমন হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানায়, সোমবার গভীর রাতে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান সিরিয়ার বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালায়, এসব হামলা হোমসে একটি বিমান ঘাঁটি এবং লাতাকিয়ার কাছে একটি সামরিক ব্যারাকে আঘাত হানে। সিরিয়ার পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় এই হামলাকে সার্বভৌমত্বের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ‘প্রত্যক্ষ হুমকি’ বলে নিন্দা জানায়। সিরিয়ার পর গত সোমবার রাতে তিউনিসিয়ার সিদি বো সাইদ বন্দরে নোঙর করার সময় গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার (জিএসএফ) প্রধান জাহাজ ফ্যামিলি বোটে একটি সন্দেহভাজন ইসরাইলি ড্রোন আঘাত হানে, যার ফলে জাহাজে আগুন লেগে যায়। পরের দিন মঙ্গলবার কাতারের দোহায় হামলা চালানো হয়। এরপর বুধবার রাজধানী সানা ও আল-জাওফ প্রদেশে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। হামলার পর ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, হামলায় কয়েকজন ৩৫ জন নিহত ও ১৩১ জন আহত হন।

ট্রাম্প-নেতানিয়াহু উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়

কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ইসরাইলি হামলা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মধ্যে ফোনালাপে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে। এদিকে, হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়ে সতর্ক করেছে কাতার। গতকাল ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প নেতানিয়াহুর প্রতি তীব্র হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং হামলার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন। মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানান, ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে বলেন, দোহায় হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করা ‘অবিবেচনাপ্রসূত পদক্ষেপ’ ছিল। তিনি আরো জানান, এই হামলার খবর তিনি মার্কিন সামরিক বাহিনী থেকে জানতে পারেন, কিন্তু ইসরাইল আগে কিছু জানায়নি। এটা এমন এক মিত্র দেশের ভূখণ্ডে হামলা চালানো হয়েছে, যারা গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে।

নেতানিয়াহু এর জবাবে বলেন, হামলার সুযোগের সময়সীমা খুবই সীমিত ছিল, তাই তিনি সেটিই কাজে লাগান। পরে উভয়ের মধ্যে আরেকটি ফোনালাপ হয়, যা তুলনামূলকভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। এতে ট্রাম্প জানতে চান হামলা সফল হয়েছে কি না, তবে নেতানিয়াহু নিশ্চিত উত্তর দিতে পারেননি। পরে হামাস জানায়, তাদের নেতৃত্ব ঐ হামলা থেকে বেঁচে গেছে, তবে সংগঠনের পাঁচ সদস্য এবং এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরো জানিয়েছে, ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প ক্রমেই নেতানিয়াহুর ওপর বিরক্ত হয়ে উঠছেন। কারণ, নেতানিয়াহু বারবার যুক্তরাষ্ট্রকে না জানিয়ে একতরফা আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যা ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সংক্রান্ত লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

-বিবিসি, নিউ ইয়র্ক পোস্ট ও রয়টার্স





Source link

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
জুলাই সনদ সংবিধান যুক্ত করার ও বৈধতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন না তোলার অঙ্গীকার

জুলাই সনদ সংবিধান যুক্ত করার ও বৈধতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন না তোলার অঙ্গীকার

Next Post
 চানখাঁরপুল হত্যা মামলার জবানবন্দিতে সাক্ষীরা

 চানখাঁরপুল হত্যা মামলার জবানবন্দিতে সাক্ষীরা

Advertisement