
সরকারি কলেজে ৬৮৩টি শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের এমসিকিউ (MCQ) পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ৩ লাখ ১২ হাজার ৭৫২ জন প্রার্থী।
এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, ঢাকার ১৮৪টি কেন্দ্রে। প্রতিটি পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন গড়ে ৪৬০ জন প্রার্থী।
পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে একটি গণমাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সরকারি কলেজে শিক্ষক পদে নিয়োগের এ বিসিএসে ৩ লাখ ১২ হাজার ৭৫২ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সে হিসাবে প্রতিটি পদের বিপরীতে লড়ছেন প্রায় ৪৬০ জন।
পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর প্রবেশ গেট সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে বই, মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনো বস্তু, গয়না এবং ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
পরীক্ষার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ বাহিনীর তত্ত্বাবধান। প্রবেশপত্র যাচাই ও শরীর তল্লাশি করা হবে মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে।
পরীক্ষার্থীদের কান খোলা রাখতে হবে। ‘হিয়ারিং এইড’ ব্যবহারের প্রয়োজন হলে চিকিৎসক প্রদত্ত পরামর্শপত্রসহ পিএসসির অনুমোদনপত্র নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা পিএসসির অনুমোদিত শ্রুতিলেখকের সহায়তা নিতে পারবেন। শ্রুতিলেখকের জন্য দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের জন্য ১০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।
৪৯তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি কলেজে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি গত ২১ জুলাই। অনলাইন আবেদন চলে ২২ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত।