
ভারতীয় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী বলেছেন, জীবন বদলাতে টাকা ব্যবহার করাই তার ভালো লাগে। ৩৫-৪০ লাখ টাকার দামি ঘড়ি পরার চেয়ে সেই অর্থ দিয়ে কারও জীবনে বাস্তবে সহায়তা করা শ্রেয়। সম্প্রতি এক টকশোতে বরুণ অকপটভাবে জানান, তিনি এখনও মধ্যবিত্ত মানসিকতাস্মী ব্যক্তিত্ব, যা তার ব্যয়ভিত্তি প্রভাবিত করে।
‘ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন’ অনুষ্ঠানে বরুণ বলেন, ‘আমি অভাব দেখেছি। ফিক্সড ডিপোজিট ছাড়া কোথাও টাকা জমাতে পারিনি। তাই আমার মানসিকতা এখনও মধ্যবিত্ত ধাঁচের। অর্থের ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই টাকা বুঝে খরচ করা উচিত।’ আইপিএল ও জাতীয় দলের খেলায় এখন আর অর্থের অভাব নেই বলেও জানান তিনি, তবু নিজের জীবন বদলানোর চাইতে অন্যকে সাহায্য করাই পাত্তা দেন বেশি।
একবার তিন লাখ টাকার একটি ঘড়ি কিনলেও সেটি এখন আলমারিতে পড়ে আছে। কারণ বন্ধুদের সামনে দামি ঘড়ি পরে তিনি নিজেকে আরামবোধ করেন না। বরুণ বলেন, ‘আমি পরতেই পারব না। আমার অনেক বন্ধু খাবার ডেলিভারি করে বা ছোটখাট কাজ করে। তাদের সামনে দামি ঘড়ি পরলে মনে হবে ওদের অসম্মান করছি।’
এ প্রসঙ্গে বরুণ যোগ করেন, ‘৩০ বা ৪০ লাখ টাকার ঘড়ি কিনতে আমার অপরাধবোধ হয়। সেই টাকায় কারও দুই-তিন জনের অর্থনৈতিক সমস্যা মিটে যেতে পারে। সেটাই আমার কাছে বেশি মূল্যবান।’