
দেশের ৩৬টি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পরিবেশক নিয়োগ দেবে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ১৬ ডিসেম্বর থেকে সে জন্য অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটি চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, টিসিবির কেনা ভোগ্যপণ্য নির্ধারিত উপকারভোগী পরিবার ও সাধারণ জনগণের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে এই পরিবেশকদের নিয়োগ দেওয়া হবে। যেসব জেলায় পরিবেশক নিয়োগ দেওয়া হবে সেগুলো হলো সাতক্ষীরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, শেরপুর ও নেত্রকোনা। টিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ৩৬ জেলার যেসব সিটি করপোরেশন, ওয়ার্ড, পৌরসভা অথবা ইউনিয়নের যেখানে বর্তমানে পরিবেশক নেই, সেখানে এসব পরিবেশক নিয়োগ করা হবে। বর্তমানে সারা দেশে ৮ হাজার ২৭৫ জন পরিবেশক আছেন।
পরিবেশক হওয়ার জন্য শুধু অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে। ১৬ থেকে ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। টিসিবি কার্যালয়ে সরাসরি, ডাকযোগে বা কুরিয়ারে আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
আবেদনের মাশুল হিসেবে ৫ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) এক-পের (অ্যাপ ও ওয়েবভিত্তিক অর্থ পরিশোধ সেবা) মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। পরিবেশক নিয়োগ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য টিসিবির ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
সারা দেশে নিম্নআয়ের মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহ করে টিসিবি। এর মধ্যে সংস্থাটির নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে বর্তমানে ৬৩ লাখ স্মার্ট কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে তিন ধরনের পণ্য বিক্রি করা হয়। কার্ডধারী একজন ক্রেতা ভর্তুকি মূল্যে দুই লিটার ভোজ্য তেল (সয়াবিন বা কুঁড়ার তেল), দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারেন। মাঝেমধ্যে এর সঙ্গে দুই-একটি পণ্য বাড়ানো হয়।
টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য সরকার নতুন নীতিমালা করেছে। পরিবেশক নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৫ শীর্ষক এ নীতিমালা জারি করা হয় গত মার্চ মাসে। এর আগে ২০২১ সালের নীতিমালা অনুসরণ করা হতো।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতি ওয়ার্ডের জন্য একজন এবং অন্যান্য অঞ্চলের প্রতি ইউনিয়নের জন্য একজন করে পরিবেশক নিয়োগ দেওয়া হবে (খালি থাকা সাপেক্ষে)। তবে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি হলে এক ইউনিয়নে একাধিক পরিবেশক নিয়োগ করার সুযোগও আছে।