
২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা দীর্ঘদিন ধরেই চলমান। কিন্তু শুরু থেকেই নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরমধ্যে নির্মাণাধীন স্টেডিয়ামের জন্য নির্ধারিত স্থানে ফেলা ২০ হাজার ঘনফুট (সিএফটি) মাটি থেকে প্রায় ১৩ হাজার ঘনফুট মাটি চুরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) এ ঘটনার বাস্তব চিত্র দেখতে পূর্বাচল পরিদর্শনে যান বিসিবির কর্মকর্তারা। মাঠ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট, ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস, এবং বয়সভিত্তিক বিভাগের প্রধান আসিফ আকবর।
পাইলট জানান, বিষয়টি নিয়ে দ্রুতই একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ একটা তদন্ত কমিটি করব। কমিটিতে আমাদের দুয়েকজন ডিরেক্টর থাকবেন, সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে দুয়েকজন। এমন সদস্য রাখব যারা এ ধরনের কাজ করতে অভ্যস্ত। তিন সদস্যের কমিটি করার প্রস্তাব প্রেসিডেন্টকে দেব।’
২০ হাজার ঘনফুট মাটি থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে মাত্র সাড়ে ৭ হাজার ঘনফুট মাটি পাওয়া গেছে বলে জানান পাইলট। এতে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন,
‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই এমন ঘটনার কথা শুনেছিলাম। ২০ হাজার সিএফটির মতো মাটি থাকার কথা ছিল। এখন মাপজোক করে জানা গেছে, আছে মাত্র সাড়ে সাত হাজার সিএফটি।’
স্টেডিয়াম নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে এ ধরনের অনিয়ম সামনে আসায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্বকাপ আয়োজনে প্রস্তুতির পথে এ ঘটনাকে অনেকেই বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন।