
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস মানবজাতির ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং মহাকাশ অভিযান পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নয়, বরং ‘সমৃদ্ধিশালী সভ্যতার’ দিকে এগোতে সাহায্য করবে। ইতালির টেক উইক ২০২৫ এ বক্তব্য দেওয়ার সময় বেজোস বলেন, বর্তমান সময়ে জীবিত থাকা মানুষদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি যত বিকশিত হচ্ছে, ততই অনেক নতুন সম্ভাবনার দিকে আমরা এগোচ্ছি।’
জেফ বেজোসের দৃষ্টিতে, ২০৪৫ সালের মধ্যে মহাকাশে কোটি কোটি মানুষ বসবাস করতে পারে। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে আমার বিশ্বাস, মহাকাশে লাখ লাখ মানুষ বসবাস করবে। এই গতি খুব দ্রুত এগোবে।’ তবে তিনি যোগ করেন, এই মানুষগুলো সেখানে স্বেচ্ছায় বসবাস করবে। ‘তারা মূলত সেখানে বাস করবে কারণ তারা চাইবে, আমাদের তাদের বসবাসের জন্য বাধ্য করার দরকার নেই।’
মহাকাশে শ্রমসাধ্য কাজ মানুষের হাতে না দিয়ে রোবটের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। বেজোস বলেন, ‘চাঁদ বা অন্য কোনো গ্রহে কোনো কাজ করতে হলে আমরা রোবট পাঠাতে পারব, যা মানুষের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়-সাশ্রয়ী হবে।’
এআই নিয়ে মানুষের উদ্বেগকে তিনি প্রশান্ত করেছেন। বেজোস যুক্তি দিয়েছেন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সবসময় মানুষের কল্যাণ বাড়িয়েছে। ‘সভ্যতার সমৃদ্ধি আমাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে আসে। হাজার হাজার বছর আগে কেউ জোত প্রয়োগের আবিষ্কার করেছিল, তার ফলেই আমরা ধনী হয়েছি। এই ধারা চলবে এবং ভবিষ্যতেও আমাদের জীবনে সুবিধা আনবে।’
উল্লেখযোগ্যভাবে, সব ধনকুবেররাই মহাকাশ নিয়ে এতটা আশাবাদী নন। মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস মনে করেন, বিশ্বের নেতাদের আগে পৃথিবীর সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দেওয়া উচিত। তিনি পূর্বের এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মহাকাশ? আমাদের এখানে পৃথিবীতে অনেক কাজ আছে।’ তবে গেটসও এআই-এর সম্ভাব্য সুফলকে স্বীকার করেছেন। তিনি মনে করেন, এআই ভবিষ্যতে মানুষের কাজের সময় কমিয়ে দেবে এবং অবসর সময় বাড়াবে। ‘দূরদৃষ্টিতে দেখলে, জীবনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র চাকরি করা নয়,’ তিনি যোগ করেন।