
৩৮ বছর বয়সে নেতৃত্ব হারানো মানে দলে জায়গা হারানোর ঝুঁকি। পরের বিশ্বকাপ দুই বছর পর, তখন রোহিত শর্মার বয়স হবে ৪০। এমন বয়সে কেউ সাধারণত বিশ্বকাপ খেলে না। তবে ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ কাইফ মনে করেন, রোহিত তখনও ভারতের অপরিহার্য ওপেনার থাকবেন।
টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে এখন কেবল ওয়ানডেতে খেলছেন রোহিত। মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর সাত মাস ধরে জাতীয় দলে নেই তিনি। সম্প্রতি নেতৃত্বও হারিয়েছেন। তবে কাইফের মতে, এতে রোহিতের গুরুত্ব কমছে না, বরং তিনি পরবর্তী বিশ্বকাপে দলে থাকবেনই।
কাইফ বলেন, ‘২০২৭ বিশ্বকাপে রোহিত অবশ্যই খেলবে। নেতৃত্ব হয়তো নেই, কিন্তু ওপেনার হিসেবে ওর বিকল্প নেই।’ দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় অনুষ্ঠেয় সেই বিশ্বকাপের কন্ডিশনেও রোহিতকে সবচেয়ে উপযোগী মনে করেন তিনি।
তার মতে, ‘বাউন্সি উইকেটে ওর ব্যাটিং স্টাইল একদম মানানসই। ওই কন্ডিশনে অভিজ্ঞ ওপেনার দরকার, যে কাট-পুল শট খেলতে পারে— রোহিত সেটাই পারে।’
রোহিতের মতো অনিশ্চয়তা তাড়া করছে বিরাট কোহলিকেও। তবে কাইফ মনে করেন, বড় টুর্নামেন্টে এই দুজনই ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি (৭) রোহিতের। ২৮ ইনিংসে ১,৫৭৫ রানে তার গড় ৬০.৫৭, স্ট্রাইক রেট ১০৫.৪৯— দুটোই সেরা। অন্যদিকে কোহলির ৩৭ ইনিংসে রান ১,৭৯৫, গড় ৫৯.৮৩, স্ট্রাইক রেট ৮৮.২০। দুজনেরই নাম ভারতের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখা।