
জাতীয় দল এশিয়ান কাপের মূল পর্বের খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলেও অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপে খেলার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। চীনের চংকিনে চলমান ২০২৬ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ বাছাইপর্বে অপ্রতিরোধ্য বাংলার যুবারা। গ্রুপ পর্বের খেলায় হ্যাটট্রিক জয়ের পর এবার টানা চতুর্থ জয় পেয়েছে ছোটনের দল। গতকাল বাহরাইনের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে তারা। ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে বায়েজিদ ও মানিক একটি করে গোল করেছেন।
টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ বাছাইপর্বের খেলায় প্রতিটি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন খেলবে আগামী বছর সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মূল পর্বে। ‘এ’ গ্রুপে চারটি করে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ও চীন। দুই দলের পয়েন্ট ১২। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ‘এ’ গ্রুপে সবার উপরে আছে চীন এবং ২ নম্বরে আছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ-চীন দুই দলের ম্যাচটি গ্রুপের অঘোষিত ফাইনাল। সেই ম্যাচে যে দল জিতবে তারাই জায়গা করে নিবে মূল পর্বে খেলার টিকিট। তবে ম্যাচ ড্র হলে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বাংলাদেশের বদলে মূল পর্বে জায়গা করে নেবে চীন। বাংলাদেশ নিজেদের চার ম্যাচে তিমুর লেস্তে, শ্রীলঙ্কা, ব্রুনাইয় ও বাহরাইনের বিপক্ষে সবমিলিয়ে গোল করেছে ২০টি। অন্যদিকে চীন নিজেদের চার ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে ৩৮ গোল।
ছেলেদের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে খুশি তাবিথ আউয়াল। গতকাল ম্যাচ জয়ের পর মোবাইল ফোনে যুবাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। এছাড়াও শিষ্যদের ধারাবাহিক পারফরমেন্সে সন্তুষ্ট দলের হেড কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।

গতকাল ম্যাচ জয়ের পর এক ভিডিও বার্তায় ছোটন বলেন, ‘আজ আমাদের কঠিন ম্যাচ ছিল। বাহরাইন অনেক শক্তিশালী দল, তাদের ফুটবল ঐতিহ্য ভালো। তাদের বিপক্ষে আমাদের ছেলেরা জয়লাভ করে ইতিহাস তৈরি করলো। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ও ভালো ফুটবল খেলেছে। প্রথমার্ধে গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়। অনেক সুযোগ তৈরি করে, দুই গোলে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে এক গোল হজম করলেও সাহস এবং ধৈর্য্যর সঙ্গে খেলা শেষ করেছে। এজন্য ছেলেদের ধন্যবাদ জানাই।’
১৯৮৫ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হতে আসা অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপের মূলপর্বে সবমিলিয়ে ছয়বার খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশের যুবারা। সবশেষ বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টের মূল পর্বে খেলেছিল ১৯ বছর আগে, ২০০৬ সালে। যদিও প্রতিবারই গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে লাল-সবজের প্রতিনিধিরা।