
ছোট পর্দার আলোচিত অভিনেতা আরশ খান। গত অল্প কয়েক বছরের মধ্যে দর্শকদের অনেক নাটক উপহার দিয়েছেন তিনি। অভিনয়ের জন্য প্রশংসাও লাভ করেছেন। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও বেশ সরব এ অভিনেতা।
মাঝেমধ্যেই ফেসবুকে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলে থাকেন। ক্যারিয়ারের বাইরে সমসাময়িক ব্যাপারে কথা বলে কখনো কখনো শিরোনামেও উঠে এসেছেন। এবার ব্যক্তিজীবনের এক বদঅভ্যাসের কথা ও ক্ষতিকর দিক তুল ধরেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ধূমপানের কারণে তার ফুসফুস প্রায় শেষ দিকে।
অভিনেতার পোস্ট নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়, আবার অনেকে বিভ্রান্তিতে পরেছেন ও ভাবছেন আরশ খান অসুস্থ। এমনকি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হতে দেখা গেছে। এই অভিনেতার ফুসফুস প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে, এটাই ছিলো ওইসব সংবাদের আলোচ্য!
এবার এ বিষয় নিয়ে আরেক পোস্টে আরশ খান জানিয়েছেন যে, তিনি সুস্থ রয়েছেন।
পোস্ট দিয়ে এ অভিনেতা লিখেছেন, ‘আমি সুস্থ আলহামদুলিল্লাহ। অনুজদের সতর্ক করতে দেয়া পোস্টের কারণে যারা আমাকে (আইসিইউ) পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রতি আহবান আহ্বান এমনটা না করার জন্য।’
তার কথায়, ‘আমার হৃদয়, কিডনি, লিভার, ফুসফুস যে অবস্থায় আছে তাতে জোরপূর্বক আমাকে পৃথিবী ছাড়া না করলে আমি যাচ্ছি না ইনশাআল্লাহ।’
শেষে লিখেছেন, ‘আগের নম্বরই আছে আমার। ছাপানোর পূর্বে তথ্য সংক্রান্ত বিষয় জানতে কল করুন, টেক্সট করুন, মিডসকল ও চলবে। বাঁচতে হলে জানতে হবে।’
এর আগে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে আরশ খান লিখেছিলেন, ‘স্কুলজীবনে ফ্লেক্স করতে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সিগারেট খাওয়া শুরু করেছিলাম। ১৯ বছর শেষ। আমার ফুসফুসও প্রায় শেষের দিকে। এখন ফ্লেক্সের বিষয়বস্তু অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সিগারেট ছাড়ার জন্য ধরলাম ভেপ। গত ১৯ বছরে ফুসফুসের যা ১২টা বেজেছিল তার ৩ গুণ বেজেছে গত ৬ মাসে।’
সিগারেট ছাড়ার জন্য তিনি ভেপ ব্যবহার শুরু করেছিলেন। তবে এর ক্ষতি সিগারেটের চেয়েও ভয়াবহ। এরপর অভিনেতা আরো লিখেছেন, ‘বিশ্বাস করো সুস্থ থাকার চেয়ে বড় ফ্লেক্স আর কিছু নাই। তোমরা যারা রিসেন্টলি ধূমপান বিষয়টাকে আপন করে নেওয়ার ভাবনায় আছ তারা এই বিষয় থেকে দূরে থাকো। ধূমপায়ী ব্যক্তি ধূমপান ছাড়লে ফুসফুসে যদি বড় কোনো ক্ষত না থাকে তবে ফুসফুস স্বাভাবিক হতে সময় লাগে ৯ মাস। তার পরও এমন কিছু ক্ষতি হয়ে যায় যা কোনো দিন ঠিক হয় না।’
সবশেষ আরশ খান ধূমপান ও ভেপ দুটোই একেবারে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন, ‘ভেপের দ্বারা ফুসফুসের যে ক্ষতি হয় তার কোনো চিকিৎসা নেই, কোনো ওষুধ নেই। পুরো জীবনের জন্য ওই অংশ অকেজো। সিগারেট এমন প্রেমিকা যাকে ছাড়লে একদম ছেড়ে দিতে হবে, সিগারেট ছাড়তে গিয়ে ভেপ নামক প্রেমিকাকে রিবাউন্ড বানানো যাবে না। ভাবিয়া করিও কাজ, আমার মতন করিয়া ভাবিও না।’