
দীর্ঘ ১৪ বছর একসঙ্গে থাকার পর জনপ্রিয় টেলিভিশন জুটি জয় ভানুশালি ও মাহি বিজ আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাস আগে তারা বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং ২০২৫ সালের জুলাই বা আগস্টে তা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। একই সঙ্গে তাদের সন্তানদের হেফাজতের বিষয়টিও নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই মাস থেকেই জয় ভানুশালি এবং মাহি ভিজের ডিভোর্সের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। যদিও সেই সময় এই বিষয়ে তারকা দম্পতি প্রকাশ্যে কুলুপ এঁটেছিলেন। মাসখানেক আগে মাহিও জানিয়েছিলেন যে, ব্যক্তিগতজীবন নিয়ে কারও কাছে কৈফিয়ত দিতে তিনি বাধ্য নন।
তবে ভাঙনের খবর কি আর খুব বেশি দিন ধামাচাপা থাকে? এবার জয়-মাহির এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুই ফাঁস করে দিলেন তাদের বর্তমান অবস্থান। জুলাই-আগস্ট মাসেই আইনি বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন জয় ভানুশালি ও মাহি ভিজ। কিন্তু তারা বিষয়টি একেবারে গোপন রেখেছিলেন।
জয় ভানুশালি ও মাহি বিজ ২০১১ সালে বিয়ে করেছিলেন। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে—২০১৯ সালে জন্ম নেওয়া কন্যা তারা এবং ২০১৭ সালে দত্তক নেওয়া দুই সন্তান রাজবীর ও খুশি।
হিন্দুস্তান টাইমসের সূত্র জানিয়েছে, বিচ্ছেদের মূল কারণ ছিল মাহি বিজের জয় ভানুশালির প্রতি ‘বিশ্বাসের অভাব’। আগে তারা তাদের যৌথ ভ্লগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পারিবারিক মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য পরিচিত ছিলেন। তবে এখন তারা একে অপরের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন না। তাদের শেষ যৌথ পরিবার পোস্ট ছিল ২০২৪ সালের জুনে। আগস্টে কন্যা তারার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তারা সর্বশেষ একসঙ্গে জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের থিম ছিল ‘লাবুবু’।
সূত্র আরও জানিয়েছে, মাহি বিজ দুই সপ্তাহ আগে সন্তানদের সঙ্গে নতুন বাসায় চলে গেছেন, আর জয় ভানুশালি সম্প্রতি কেবল তার মেয়েদের সঙ্গে এক ট্রিপের ছবি প্রকাশ করেছেন।
অক্টোবর ১৮ তারিখে জয় ভানুশালি টোকিওর শিবুয়া ক্রসিংয়ে নিজের এবং কন্যা তারার একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘টোকিও ড্রিফট তো শুনা হবে, এখন দেখো বাবা-মেয়ে কিভাবে শিবুয়া ক্রসিংয়ে ড্রিফট করছে।’
এর আগে জুলাই মাসে বিচ্ছেদের গুজব উঠার সময় মাহি বিজ হউটারফ্লাইকে বলেছেন, ‘যদি সত্যি হয়, তাহলে আমি কেন তোমাকে বলব? তুমি কি আমার চাচা? কি আমার আইনজীবীর খরচ দেবে? মানুষ কেন কারো বিচ্ছেদ নিয়ে এত ড্রামা সৃষ্টি করে? আমি কমেন্টে দেখি, কেউ লেখে, “মাহি তো ডেসেন্ট, জয় এমন”, আবার কেউ লেখে, “জয় ভালো, মাহি এমন”—সবাই কাউকে দোষারোপ করতে চায়। তুমি কি সত্যিই জানো? তুমি কি জানো?’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে মানুষ একক মায়ের এবং বিচ্ছেদকে ভিন্নভাবে দেখে। তারা মনে করে এখন নাটক হবে, দুইজন একে অপরকে দোষ দেবে। আমি মনে করি, সমাজ থেকে অনেক চাপ আছে। শুধু জীবিত থাকো এবং অন্যকেও থাকতে দাও।’