
জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক ও অভিনেতা রাজবীর জওয়ান্দা প্রায় ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) মোহালির ফোর্টিস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে এ গায়কের বয়স হয়েছিল ৩৫ বছর। এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর হিমাচল প্রদেশের বাদ্দির কাছে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মাথা ও মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পান রাজবীর। মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মাথায় ও মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পান তিনি। সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। দুর্ঘটনার প্রায় ১২ দিন পর না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন রাজীব।
এদিকে গায়কের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ পাঞ্জাবি ইন্ডাস্ট্রি। সামাজিকমাধ্যমে শোক জানিয়েছেন তার অনুরাগীরা।
জাওয়ান্দার মা ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, পাঞ্জাবের সিনেমা শিল্পীরা তার উন্নত চিকিৎসার খরচ বহন করেছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু, কোনো প্রার্থনা ফল দিল না।’
চিকিৎসকদের মতে, রাজবীরের স্নায়বিক অবস্থায় সংকটজনক, মস্তিষ্কের কার্যকলাপ খুবই কম সক্রিয় এবং নিবিড় চিকিৎসা সেবায় রাখার পরও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। দুর্ঘটনার পরই তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক বলে জানানো হয় এবং হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে।
২০১৪ সালে মুন্ডা লাইক মি একক গান দিয়ে সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন রাজবীর। তারপর প্রাণবন্ত কণ্ঠ এবং পাঞ্জাবি গর্ব ও সংস্কৃতি উদযাপনের গানের জন্য অল্প সময়ে খ্যাতি অর্জন করেন।
রাজবীর জওয়ান্দা পাঞ্জাব পুলিশের প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেছিলেন। তবে সঙ্গীত ও অভিনয়ের প্রতি আগ্রহের কারণে তিনি বিনোদন জগতে ক্যারিয়ার গড়েন। ‘সারদারি’, ‘জোর’, ‘কালি জাওয়ান্দে দি’, ‘রব্ব কারকে’ , ‘মেরা দিল’-এর মতো জনপ্রিয় গানের জন্য দর্শক মহলে পরিচিত পান। ২০১৮ সালে গিপ্পি গ্রেওয়াল অভিনীত পাঞ্জাবি সিনেমা ‘সুবেদার জোগিন্দর সিং’, ও ২০১৯ সালে ‘জিন্দ জান’ ও ‘মিন্দো তাসিলদারনি’ সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে।