
ইয়েমেনের হুথিদের হাতে সাম্প্রতিক আটকের ঘটনার পর জাতিসংঘের ১২ জন কর্মী রাজধানী সানা থেকে চলে গেছেন। বুধবার (২২ অক্টোবর) জাতিসংঘের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত সপ্তাহ থেকে হুথিরা রাজধানী সানায় জাতিসংঘের প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে ১৫ জন বিদেশিসহ ২০ জন কর্মীকে আটক করে। আটক ১৫ জনের মধ্যে ইয়েমেনে ইউনিসেফের প্রতিনিধি পিটার হকিন্সও ছিলেন। যদিও গত রোববার পাঁচ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
হুত্থিরা বছরের পর বছর ধরে জাতিসংঘের কর্মী এবং সাহায্যকর্মীদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ করে আসছে। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের এসব কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্রের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজ সকালে ইয়েমেনের জাতিসংঘ প্রাঙ্গণে আটক ১২ জন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক কর্মী জাতিসংঘের মানবিক বিমান পরিষেবার একটি ফ্লাইটে সানা ত্যাগ করেছেন।’
মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘তাদের মধ্যে কয়েকজন জর্ডানের আম্মানে স্থানান্তরিত হবেন। ইয়েমেনে আবার ভ্রমণ বা ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আমরা সানায় কিছু আন্তর্জাতিক কর্মী রাখার ইচ্ছা পোষণ করি।’
গত দুই বছরের গাজা যুদ্ধের সময় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানের ‘প্রতিরোধ অক্ষ’র অংশ হুথিরা প্রায়শই লোহিত সাগরের জাহাজ এবং ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তারা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এসব হামলা চালাচ্ছে।
ইসরায়েলও অসংখ্যবার ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে। গত আগস্টে একটি বড় হামলায় হুথিদের প্রধানমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রিসভার প্রায় অর্ধেক সদস্য নিহত হন।
হুথি নেতা আব্দুল মালিক আল-হুথি আটককৃত জাতিসংঘের কর্মীদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছেন। যদিও জাতিসংঘ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
সংস্থাটির মতে, ৩১ আগস্ট বিদ্রোহীরা সানায় জাতিসংঘের অফিসে হামলা চালিয়ে ১১ জনেরও বেশি কর্মীকে আটক করে। মোট ৫৩ জন জাতিসংঘ কর্মী এখনো হুথিদের কাছে আটক রয়েছেন।
একজন জ্যেষ্ঠ হুথি কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের কর্মীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে।