
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর আগমন পাল্টে দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলার ধরণ। বেড়েছে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস। মাত্র ছয় ম্যাচেই চার গোল করে তিনি হয়ে উঠেছেন দলের অন্যতম প্রভাবশালী খেলোয়াড়।
এই চার গোলের মধ্যে দুটির যোগানদাতা জামাল ভূঁইয়া। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে হামজা ও তার মাঠের রসায়ন নিয়ে কথা বলেছেন জামাল। তিনি বলেন, ‘হামজা আমার মতোই বিদেশ থেকে এসেছে। মাঠের বাইরে আমাদের বোঝাপড়াটা দারুণ। কোনো বিষয় নিয়ে হামজার সমস্যা হলে সে আমাকে ফোন করে বা মেসেজ দেয়। ফুটবল সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকলেও সে আমার সঙ্গে কথা বলে।’ জামালের মতে, এই সম্পর্ক মাঠের বাইরের যোগাযোগ থেকেই গড়ে উঠেছে।
হামজার প্রথম গোলটি এসেছিল ভুটানের বিপক্ষে, জামালের কর্নার থেকে। সর্বশেষ গোল নেপালের বিপক্ষেও তার পাস থেকেই আসে। হামজার বাইসাইকেল কিককে নিজের প্রিয় মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করে জামাল বলেন, ‘চার গোলের মধ্যে তার বাইসাইকেল কিক সবচেয়ে অসাধারণ।’
তবে মাঠে তাদের রসায়ন থাকলেও জামাল নিজেই একাদশে নিয়মিত নন। আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে তার মাঠে নামা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কোচের সিদ্ধান্ত। আমি খেলতে চাই, কিন্তু না খেলতে পারলে অবশ্যই খারাপ লাগে।’
হামজার আগমন বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের গোলখরা সমস্যা কমিয়েছে বলে মনে করেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। তিনি বলেন, ‘ছয় ম্যাচে চার গোল—তার পজিশন বিবেচনায় এটি দারুণ অর্জন। মাঠে তার ইমপ্যাক্ট অনেক বড়। তাকে সামনে বা পেছনে খেলতে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে এবং দল তাতে মানিয়ে নিচ্ছে।’