
আগামী ২৮ নভেম্বর ভারতে শুরু হবে অনূর্ধ্ব-২১ হকি বিশ্বকাপ। আসরকে সামনে রেখে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে প্রতিদিন দুই বেলা ঘাম ঝরাচ্ছেন সামিন-রিফাতরা। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের পরিকল্পনা ছিল সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে গিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার। তবে শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন এসেছে সেই পরিকল্পনায়। পাকিস্তানের পরিবর্তে এখন মালয়েশিয়া যাবে লাল-সবুজের যুব দল।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার অনূর্ধ্ব-২১ দলের বিপক্ষে কমপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তার ভাষায়, ‘পাকিস্তান-মালয়েশিয়া বয়সভিত্তিক দলে সমশক্তির। তাই প্রস্তুতিতে কোনো সমস্যা হবে না।’
অক্টোবরের শেষ দিকে ইউরোপ সফরের পরিকল্পনাও করছে হকি ফেডারেশন। এ নিয়ে ইতোমধ্যে সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে। সেখানে জাতীয় দল কিংবা ক্লাব দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের জন্য ডাচ কোচ আইকম্যানকে এনেছে ফেডারেশন প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পে ৪০ জন খেলোয়াড় থাকলেও তা নেমে এসেছে ২৬ জনে। এই ২৬ জনের জন্যই মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন করা হয়েছে।
অন্যদিকে সিনিয়র জাতীয় দল এশিয়া কাপে ষষ্ঠ হয়েছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জায়গা পেতে হলে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের প্লে-অফ সিরিজ জিততে হবে বাংলাদেশকে। তবে এখানেও বড় চ্যালেঞ্জ খরচের বিষয়টি। কারণ এশিয়ান হকি ফেডারেশনের (এএইচএফ) আয়োজিত এই সিরিজের সিংহভাগ খরচই বহন করতে হবে বাংলাদেশকেই।
রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘আম্পায়ার, এএইচএফ কর্মকর্তা, পাকিস্তানের স্থানীয় খরচ সবই আমাদের বহন করতে হবে। কষ্ট হলেও এটা করতে হবে, না হলে পাকিস্তান আমাদের বিপক্ষে না খেলেই বাছাইয়ে জায়গা পেয়ে যাবে।’ বাংলাদেশ হকির সামনে তাই এখন দুই চ্যালেঞ্জ প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়া এবং বাছাই সিরিজে জয়ের মাধ্যমে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া।