Dark Mode Light Mode

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Follow Us
Follow Us
English English

স্মার্টফোন আসক্তি থেকে মুক্তির ৫ উপায়

স্মার্টফোন আসক্তি থেকে মুক্তির ৫ উপায় স্মার্টফোন আসক্তি থেকে মুক্তির ৫ উপায়
স্মার্টফোন আসক্তি থেকে মুক্তির ৫ উপায়


এই ডিজিটাল যুগে দিন শুরু থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত অনেকে স্মার্টফোনের হাতে বন্দী থাকে! অথচ এই প্রযুক্তিনির্ভরতা আমাদের জীবন থেকে কেড়ে নিচ্ছে মূল্যবান সময়, মনোযোগ ও সম্পর্কের গভীরতা। মার্কিন সাংবাদিক ও লেখিকা ক্যাথরিন প্রাইস ‘হাউ টু ব্রেকআপ উইদ ইউর ফোন’ নামে বইয়ে তুলে ধরেছেন, কীভাবে ধাপে ধাপে প্রযুক্তির আসক্তি থেকে বেরিয়ে এসে জীবনকে আরও প্রাণবন্ত করা যায়।

ক্যাথরিন প্রাইসের বই থেকে ৫টি সহজ ধাপ রইল পাঠকদের জন্য।

Advertisement

নিজের উদ্দেশ্য ঠিক করুন

শুধু সময় কমানোই নয়, কেন আপনি মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমাতে চান, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করাটা জরুরি। আপনি কিসে সময় দিতে চান? পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, বই পড়া, হাঁটা বা আপনার পছন্দগুলোকে আগে ঠিক করতে হবে। একটি চিঠি লিখে আপনার মোবাইল ফোনকে ‘ব্রেকআপ লেটার’ হিসেবে দিতে পারেন। এতে আপনার ক্ষোভ, কষ্ট আর আশা স্পষ্টভাবে উঠে আসবে।

যেমন ‘প্রিয় ফোন, তোমার কারণে নিজের চিন্তাগুলো আলাদা করতে পারি না। আমি আমার সন্তান ও পরিবারকে বেশির ভাগ সময় দিতে চাই। আমি আগের মতো সব ফিরে পেতে চাই।’ এভাবে লিখতে পারেন। কিংবা আপনার সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে আরও ভালো করতে পারেন সেই চিঠি।

একবার চিন্তা করে দেখুন, প্রতিদিন যদি আপনি ৪ ঘণ্টা মোবাইল ফোনে কাটান, তাহলে বছরে প্রায় ২ মাস আপনি শুধু স্ক্রিনের পেছনে কাটিয়ে দিয়েছেন! এই সময়গুলো কিন্তু আসলে আপনার জীবনেরই অংশ।

বাস্তব জীবনের আনন্দ খুঁজে নিন

আমরা অনেক সময় একাকিত্ব বা একঘেয়ে সময় থেকে মুক্তি পেতে মোবাইল ফোনে ঢুকে পড়ি। কিন্তু তাতে কাটানো সময়ের পর আমাদের আরও একা লাগতে পারে। এর বদলে এমন কাজ খুঁজুন, যা আপনাকে আনন্দ দেয়। আপনি কী করতে ভালোবাসেন? নতুন কী কী শিখতে চান? কাদের সঙ্গে সময় কাটাতে চান—এ বিষয়গুলো চিহ্নিত করুন।

১০ মিনিট সময় নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করুন। নিজে বা পরিবারের সঙ্গে বসে মজার পরিকল্পনা করুন। যেমন নতুন রেসিপি, পছন্দের বই পড়া, হাঁটতে যাওয়া বা বন্ধুর সঙ্গে দেখা করা।

মোবাইল ফোনকে একঘেয়ে করে ফেলুন

আপনার ফোনে থাকা অ্যাপগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করুন—

১. প্রয়োজনীয় ও সহায়ক অ্যাপ (যেমন ঘড়ি, মানচিত্র, ব্যাংক অ্যাপ)

২. সময় নষ্ট করে এমন অ্যাপ (যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, শপিং, গেমস)

প্রথম ধাপ, সময় নষ্টকারী অ্যাপগুলো ডিলিট করুন। ফোনে ঢুকে পড়ার অভ্যাস ঠেকাতে হোমস্ক্রিনে কেবল দরকারি অ্যাপ রাখুন। আরও ভালো হয় যদি আপনার ফোনটি সাদা-কালো মুডে চালান। তাতে চোখের আকর্ষণ কমে যাবে। স্ক্রিন টাইম কমানোর জন্য অ্যাপ-ব্লকারও ব্যবহার করতে পারেন।

ফোন ব্যবহারের নিয়ম তৈরি করুন

ফোন ব্যবহারে কিছু নিয়ম তৈরি করলে পরিবারে সময় কাটানো আরও অর্থবহ হয়ে উঠতে পারে। যেমন খাবারের সময় সবাই মিলে ফোন এক পাশে রেখে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে একে অপরের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ বাড়বে, সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে। ঘরে একটি ‘কথার টুকরো’র বাটি রাখতে পারেন, যেখানে পরিবারের সবাই ছোট ছোট প্রশ্ন বা গল্প লিখে রাখবে, যা খাবারের সময় আলোচনা করা যাবে। সপ্তাহ শেষে পেছন ফিরে তাকালে দেখবেন, এসব ছোট আনন্দই অনেক বড় হয়ে উঠেছে।

দিন শুরু ও শেষ হোক নিজের মতো করে

সকালে ঘুম থেকে উঠে বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় আমরা যে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকাই, তা আমাদের মনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। চেষ্টা করুন মোবাইল ফোনকে শোয়ার ঘরের বাইরে রাখতে। প্রয়োজনে ঘরে আলাদা অ্যালার্ম ক্লক ব্যবহার করুন, ঘুমানোর আগে বিছানার পাশে পছন্দের বই রাখুন।

নিজের জীবনকে যন্ত্রের দখল থেকে ফিরিয়ে আনতে চাইলে একটু সাহস আর সচেতনতা দরকার। প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করে। তবে সেটাই যদি জীবনের নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠে, তাহলে আপনার থামার সময় এসে গেছে। তাই মোবাইল ফোন থেকে বেরিয়ে এসে বাস্তব জীবনটা উপভোগ করুন।

সূত্র: নেক্সট বিগ আইডিয়া ক্লাব





Source link

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে মার্কিন নীতি

বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে মার্কিন নীতি

Next Post
টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম শুরু ১ সেপ্টেম্বর, বিনামূল্যে টিকা পাবে ৫ কোটি শিশু

টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম শুরু ১ সেপ্টেম্বর, বিনামূল্যে টিকা পাবে ৫ কোটি শিশু

Advertisement