
সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় ৯ দিন কাটানোর পর নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি ব্যারাক থেকে একটি ব্যক্তিগত জায়গায় চলে গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নেপালের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।
চলতি মাসে জেন-জি বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠার পর অলি পদত্যাগ করেন এবং রাজধানী কাঠমান্ডুর উত্তরে শিবপুরী বনাঞ্চলের সম্ভাব্য সেনা ব্যারাকে উড়ে যান।
নেপাল সেনাবাহিনীর সূত্রের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সেনা নিরাপত্তায় ৯ দিন কাটানোর পর নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান একটি ব্যক্তিগত জায়গায় চলে গেছেন। তবে এখন থেকে তিনি কোথায় থাকবেন, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কাঠমান্ডু থেকে ১৫ কিলোমিটার পূর্বে ভক্তপুর জেলার গুন্ডু এলাকার একটি ব্যক্তিগত বাড়িতে চলে যেতে পারেন অলি।
৯ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনে ভক্তপুরের বালকোটে জেন-জি বিক্ষোভকারীরা তার বাড়ি পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। একই সঙ্গে বালকোটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আংশিকভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, তখন অলি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ছিলেন।
তবে নেপাল সেনাবাহিনীর সহায়তায় অলি নিরাপদে পালিয়ে যান। সেনারা তাকে উদ্ধারের জন্য একটি হেলিকপ্টার পাঠিয়েছিল।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অলি ছাড়াও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল, প্রচণ্ড, শের বাহাদুর দেউবা, ঝালনাথ খানাল ও মাধব কুমার নেপালসহ আরও কিছু প্রবীণ রাজনৈতিক নেতাও কয়েকদিন সেনা সুরক্ষায় ছিলেন। এছাড়া বিক্ষোভকারীদের হামলায় আহত শের বাহাদুর এবং আরজ্জু বর্তমানে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় অবস্থিত একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে, অলির নেতৃত্বে তার দল ১৯ সেপ্টেম্বর ললিতপুর জেলার চ্যাসালে সংবিধান দিবসে একটি পৃথক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করছে – যেখানে তাদের দলীয় কার্যালয়।