
সুদানের আধা-সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) এল-ফাশার শহর দখলের কয়েকদিন পরও এই অঞ্চল ও আশেপাশে গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। নতুন স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত সংঘাতে লিপ্ত আরএসএফ গত রোববার এল-ফাশার দখল করে। শহর দখলের পর থেকে গণহত্যা, যৌন সহিংসতা, সাহায্য কর্মীদের ওপর আক্রমণ, লুটপাট ও অপহরণের খবর ভয়াবহ বর্ণনা উঠে আসছে। যদিও বর্তমানে শহরটির যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটেরিয়ান রিসার্চ ল্যাবের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন স্যাটেলাইট চিত্রগুলোতে দেখা যাচ্ছে, শহরের জনসংখ্যার বেশিরভাগ অংশ ‘মৃত, বন্দী, অথবা লুকিয়ে থাকতে পারে।’
ল্যাবটি সোমবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে আশেপাশের এলাকা, বিশ্ববিদ্যালয় মাঠ এবং সামরিক স্থাপনাজুড়ে মানবদেহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অনেকগুলো বস্তু শনাক্ত করেছে। ল্যাবটি বলেছে, ‘গণহত্যা অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।’
এল-ফাশার থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা নিকটবর্তী শহর তাওয়িলায় পৌঁছে বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে গণহত্যা, বাবা-মায়ের সামনে শিশুদের গুলি করা এবং পালানোর সময় বেসামরিক নাগরিকদের মারধর ও লুটপাটের কথা জানিয়েছেন।
এল-ফাশার থেকে পালিয়ে আসা পাঁচ সন্তানের জননী হায়াত বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে পালানর সময় যুবকদের পথ আটকে দেওয়া হয়েছে। আমরা জানি না তাদের সঙ্গে কী হয়েছে।’
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এল-ফাশার থেকে পালিয়েছে। কিন্তু এখনো হাজার হাজার মানুষ সেখানে আটকা পড়ে আছে। আরএসএফের চূড়ান্ত আক্রমণের আগে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ শহরে ছিল।